ছবি: ফাইল
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বিরুদ্ধে এবার স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী কি দুটি লাভজনক সংস্থার শীর্ষ পদে রয়েছেন? সে বিষয়ে জানতে চেয়ে এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে (Rajiv Sinha) চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। চলতি মাসের শুরুতে ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে ৯টি প্রশ্নের জবাব চেয়েছিলেন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিক বিজয়কুমার পাণ্ডে। কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে তাঁর দায়িত্ব ও বেতনের ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, গত ২২ জুন ফিরহাদ হাকিমের বিষয়ে কমিশনকে চিঠি লেখেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সতীশ তিওয়ারি। তিনি জানিয়েছেন, দুটি লাভজনক পদে ফিরহাদ আছেন এই অভিযোগ পেয়েছেন রাজ্যপাল। সংবিধানের ১৯১ (১) (এ) ধারার আওতায় সেই অভিযোগপত্রে মন্ত্রীর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিও জানানো হয়েছে বলে জানান রাজ্যপালের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব। রাজভবনের সেই চিঠির ভিত্তিতেই মুখ্যসচিবের কাছ থেকে জবাব চেয়েছে কমিশন।
সূত্রের খবর, নবান্নের তরফে এক শীর্ষ আধিকারিক চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করেছেন। জানা গিয়েছে, চিঠিতে কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক হিসাবে ফিরহাদ হাকিমের নিয়োগ প্রক্রিয়া, সেই পদে বসার বিজ্ঞপ্তির কপি, তিনি কী ধরনের সুবিধা পাচ্ছেন এবং কোনও আইন বা নির্দেশিকার আওতায় তাঁর কার্যালয় বিশেষ কোনও ছাড় পায় কিনা, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। মুখ্য প্রশাসক পদ তৈরির বিজ্ঞপ্তি কোন তারিখে জারি করা হয়েছিল এবং তা রাজ্যের নির্দেশিকার ভিত্তিতে হয়েছিল কিনা, সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয়েছে, ফিরহাদ হাকিমের বিধায়ক পদ কেন খারিজ করা হবে না।
তবে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশাসকমণ্ডলীয় চেয়ারম্যান বা মুখ্য প্রশাসক হিসাবে কোনও বেতন বা সুবিধা নেন না ফিরহাদ হাকিম। তাই পদটি লাভজনক হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। সেকথা জানিয়েছেন ফিরহাদ নিজেও। তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ও বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁকে বিব্রত করার পালটা অভিযোগ তুলেছেন. তবে তিনি এও বলেছেন, ‘ওরা আমাকে যতই বিরক্ত করুক, আমা আদালতের নির্দেশে দায়িত্ব পালন করছি। আমা আমার কাজ চালিয়ে যাব।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.