স্টাফ রিপোর্টার : পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বুথের বাইরের ঝামেলাই কমিশনের মাথা ব্যথার কারণ। ভোটকেন্দ্র বা বুথ সুরক্ষিত করতে পারলেও বাইরের দাপাদাপিতে নাজেহাল কমিশন কর্তারা। সপ্তম দফায় সেই বুথের বাইরের অশান্তিকে যেকোনও উপায়ে ঠেকাতে এখন মরিয়া কমিশন। শনিবার সকালে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে ফোনে সেকথা ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। যেকোনও মূল্য অশান্তি ঠেকাতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, এবার আর কোনওরকম ভুল বরদাস্ত করা হবে না। কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার ভোট হবে উত্তর ও দক্ষিণ দুই কলকাতা-সহ দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার ও যাদবপুর কেন্দ্রে। যেকোনও রকম অশান্তি ঠেকাতে এই নয় কেন্দ্রকেই নজরবন্দির নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। অতীতে এই সব কেন্দ্রে রক্তাক্ত ভোটের ইতিহাসের কথা মাথায় রেখে যাবতীয় আয়োজন রাখা হয়েছে। এবার ভোটে রাজনৈতিক হাওয়াও গরম। সেকারণে এবার ন’টি আসনের জন্য মোট সর্বোচ্চ মোট ৭১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে চলেছে কমিশন। ভোটের কাজে ব্যবহার করা হবে অন্তত ৬৭৬ কোম্পানি আধাসেনা। স্ট্রংরুমের নিরাপত্তায় রাখা হচ্ছে ৩৪ কোম্পানি বাহিনী। বাকি বাহিনী ব্যবহার করা হবে কুইক রেসপন্স টিমে।যষ্ঠ দফায় শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের কিউআরটি সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু কমিশনের এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ফ্লপ। যষ্ঠ দফা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার কিউআরটিকে রাস্তা চেনানোর জন্য স্থানীয় থানার এক জন করে কনস্টেবল প্রতি কিউআরটিতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কলকাতার দায়িত্বে থাকবে মোট ১৭৮টি কিউআরটি। এছাড়াও থাকবে কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী, ফ্লাইং স্কোয়াড।
সপ্তম ও শেষদফার লোকসভা ভোটে ন’টি কেন্দ্রের সমস্ত আধিকারিকদের ‘জিরো ইন্সিডেন্ট ভোট’ করাতে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ই ন’টি আসনের সবক’টি বুথকে ‘সুপার সেনসেটিভ’ ধরে নিয়ে ভোট করাতে হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। একশো মিটার নয়, এবার বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত করা যাবে না। জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। রাজনৈতিক দলের ক্যাম্প থাকবে ২০০ মিটারের বাইরে। পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার কোনওরকম ভুল বরদাস্ত করা হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.