ফাইল ছবি।
নব্যেন্দু হাজরা: সদ্যই শুরু হয়েছে পথচলা। অথচ ইতিমধ্যেই আর্থিক দিক থেকে ক্ষতির মুখে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, ১৪ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরুর দিনে এই মেট্রোর প্রায় সাড়ে তিনশোটি টোকেন ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছে। পাঁচ টাকার টোকেন ‘উধাও’ হলেও, ক্ষতি হয়েছে প্রায় কয়েক গুণ বেশি টাকা। যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। তবে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়লে এই সমস্যা সমাধান হওয়া সম্ভব বলেই আশা মেট্রো আধিকারিকদের।
উদ্বোধন নিয়ে জটিলতা ছিলই। আমন্ত্রিতদের তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না থাকায় রাজ্যের তরফে কেউই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র উপস্থিতিতেই ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় মেট্রোর পথচলা। তার পরেরদিন থেকে আমজনতার যাতায়াত করতে শুরু করেন। একে তো প্রেমদিবস তার উপর আবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের পথচলার প্রথমদিন বলে কথা, তাই যাত্রীসংখ্যা নেহাত কম হয়নি। লক্ষ্মীবারে চালু হওয়া মেট্রো প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষ্মীলাভ হয়েছে যথেষ্টই। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৪ ফেব্রুয়ারি উধাও হয়ে গিয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশোটি টোকেন। কিন্তু কোথাও গেল এই কয়েকশো টোকেন? মেট্রো আধিকারিকরা মনে করছেন, অনেকেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় প্রথম দিনের যাত্রাকে স্মরণীয় করে রাখতে বেশি করে টোকেন কিনেছেন। ঐতিহাসিক সফরের প্রমাণ হিসাবে ওই টোকেন নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছেন। আবার অনেকে নিরাপত্তার ফাঁক গলে টোকেন নিয়েই মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। তার ফলে দিনের শেষে হিসাব করতে গিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের নজরে আসে অন্তত সাড়ে তিনশোটি টোকেন ‘উধাও’। তার ফলে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে যথেষ্টই। কারণ, মাত্র ৫ টাকা দিয়ে টোকেন কিনলেও, তা তৈরি করতে খরচ পড়ে অনেক বেশি। এর আগে একাধিক স্টেশনে প্রচার করেও লাভ কিছুই হয়নি। পরিবর্তে টোকেন উধাও হওয়ার ঘটনা লেগেই রয়েছে। অবশ্য মেট্রো কর্তৃপক্ষ মনে করছে, নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা আরেকটু বাড়লে হয়তো টোকেন উধাও হওয়ার সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.