রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। ঘরবন্দি রয়েছেন সাধারণ মানুষ। এর মাঝেই সারা দেশের পাশাপাশি এই রাজ্যের যুব নেতাদেরও জনসংযোগের হোমটাস্ক দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। বৃহস্পতিবার দলের যুব মোর্চার সমস্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও প্রতিটি রাজ্যের সভাপতিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন তিনি।
করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে আমজনতা যাতে অর্থ সাহায্য করে সেই বিষয়ে উদ্যোগ নিতে যুব নেতাদের নির্দেশ দেন তিনি। প্রত্যেক যুব নেতাকে ৪০ জন সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের কাছে অর্থ সাহায্যের আবেদন করতে বলেন। এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই ৪০ জন যেন শুধু বিজেপি সমর্থকই না হন। তার বদলে ওই নেতার পরিচিত, বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনও হতে পারে। আপ এই ৪০ জন যাঁরা পিএম কেয়ার (PM CARES) ফান্ডে সাহায্য করলেন, তাঁদের নামের তালিকা ও ফোন নম্বর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের দিতে হবে।
জেপি নাড্ডার এই নির্দেশের পরেই বঙ্গ বিজেপির যুব নেতারা এবং প্রতিটি জেলার সভাপতিরা প্রত্যেকে ৪০ জন করে তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। দলীয় সূত্রে খবর, জনসংযোগের এই কৌশল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কত মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছে সেটাও আগামীদিনে দেখে নেওয়া শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশ্য। পাশাপাশি, আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্যও প্রত্যেক যুব নেতাকে আরও ৪০ জনকে বলতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি।
এর পাশাপাশি আজ দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, মুকুল রায় ও সায়ন্তন বসু-সহ রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও শিবপ্রকাশ। তাঁদের কাছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব বলেছে, বাংলায় বিজেপির সাংসদদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এটা নিয়ে পরে দলের তরফে সংসদে যেন প্রিভিলেজ নিয়ে আসা হয়। এছাড়া, করোনাতে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্য সরকার গোপন করছে বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষরা। এছাড়া ত্রাণে বাধা দেওয়া হচ্ছে ও রেশনে দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে বলেও এই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.