Advertisement
Advertisement

Breaking News

শহরে দুর্ঘটনাপ্রবণ রাস্তার তালিকায় শীর্ষে ইএম বাইপাস

গাড়ি ও বাইকের গতি রাশ টানতে উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।

E M Bypass is accident prone
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:December 13, 2018 2:26 pm
  • Updated:December 13, 2018 2:30 pm  

অর্ণব আইচ:  দুর্ঘটনাপ্রবণ বাইপাসে রাতে পরপর দুর্ঘটনা। এবার রাতের বাইপাসে গাড়ির গতির রাশ টানছে পুলিশ।
শহরের কুড়িটি রাস্তাকে দুর্ঘটনাপ্রবণ বলে ঘোষণা করেছে ট্রাফিক পুলিশ। সেই তালিকায় শীর্ষে ইএম বাইপাস। বাইপাসের সঙ্গে দুর্ঘটনায় পাল্লা দিচ্ছে ডায়মন্ডহারবার রোড ও বাসন্তী হাইওয়ে।

[শিশুমৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হাসপাতাল, ভাঙচুর আইসিইউতেও!]

Advertisement

গত কয়েক বছরের তুলনায় রাতের শহরে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমেছে। কিন্তু শীত পড়তেই বেড়েছে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর প্রবণতা। সম্প্রতি পরপর দুর্ঘটনা ঘটেছে বাইপাসে। কিছুদিন আগেই এক ফ্যাশন ডিজাইনারের গাড়ির ধাক্কায়  মৃত্যু হয় এক পথচারীর। তার রেশ কাটতে না কাটতেই বাঘাযতীন ফ্লাইওভারের কাছে বেপরোয়া গতিতে বলি হন এক ব্যবসায়ী। তারপরও রাতে নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি বাইপাসের রেলিং ভেঙে পড়ে যায় ভেড়িতে। বাইপাসে বারবার দুর্ঘটনার পর এবার সতর্ক পুলিশ। জানা গিয়েছে,  যৌথভাবে  রাতে গাড়ির গতির রাশ টানতে শুরু করেছে আশেপাশের থানা ও ট্রাফিক পুলিশ। যেমন, মা ফ্লাইওভারে ওঠা ও নামার দিকে বসানো হয়েছে গার্ডরেল। বাইপাসে যে অঞ্চলে মেট্রোরেলের কাজ চলছে, সেই জায়গাগুলিতে  গাড়ি তুলনামূলভাবে ধীরে চলে। বেশ কিছু জায়গায় রাতে গার্ডরেল বসিয়ে রাশ টানা হচ্ছে গাড়ি ও বাইকের গতিতে। নজরদারি চালাচ্ছে  থানার টহলদার বাইক ও গাড়ি। কোনও গাড়ি বেপরোয়া গতিতে গেলে টহলরত পুলিশকর্মীরা সেই বার্তা জানিয়ে দিচ্ছেন ওয়্যারলেসে। গাড়ি দাঁড় করিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সতর্ক করা হয়েছে বাইপাস লাগোয়া ট্রাফিক গার্ডগুলিকেও। 

লালবাজারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাতের শহরে ‘ট্রাফিক সময়’-এর বাইরে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছে। ২০১৫ সালে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩৫ জনের, সেখানে ২০১৬ সালে ১২৮ জন ও ২০১৭ সালে ১১১ জন মারা গিয়েছেন। কিন্তু স্রেফ বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। পরিসংখ্যানে প্রকাশ, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে রাত দশটা থেকে রাত দুটোর মধ্যে। ভোরের দিকেও যে শহরে দুর্ঘটনা ঘটে না, এমনটা নয়।  তবে তা গভীর রাতে তুলনায় সংখ্যায় অনেক কম। শহরের ২০টি দুর্ঘটনাপ্রবণ রাস্তার তালিকা তৈরি করেছে ট্রাফিক পুলিশ। তালিকায় ডায়মন্ডহারবার রোড, ইএম বাইপাস, বাসন্তী হাইওয়ের পর উঠে এসেছে স্ট্র‌্যান্ড রোড, এপিসি রোড, সেন্ট্রাল গার্ডেনরিচ রোড, সিআইটি রোড, এজেসি বোস রোড, তারাতলা রোড, জেমস লং সরণি, বি টি রোডের নাম। তাই এই রাস্তাগুলির উপর রাতে বেশি নজর রাখছে পুলিশ। গতি রাশ টেনে শহরে দুর্ঘটনা কমানোর চেষ্টা চলছে।

[ অভিষেকের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিতে পারবেন না কৈলাস, নির্দেশ হাই কোর্টের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement