সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃষ্টি উপেক্ষা করে হইহুল্লোড়, আড্ডা-আনন্দের মধ্যে দিয়ে কেটে গিয়েছে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীর দিনগুলি। কিন্তু দশমী আসতেই আকাশে-বাতাসে বিষাদের সুর। মা যে এবছরের মতো বিদায় নেবেন। বেলা যত গড়িয়েছে, বিষাদের সেই সুর ততই করুণ হয়েছে। দশমী থেকেই অনেক মণ্ডপ এবং বনেদি বাড়ির ঠাকুর দালান শূন্য করে সন্তানদের নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন মা। একাদশীর সকাল থেকেও গঙ্গার প্রতিটি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের ভিড়। তবে শহরের গায়ে এখনও পুজোর গন্ধ লেগে রয়েছে। আরও একবার মায়ের দর্শন পাওয়ার অপেক্ষায় বাঙালি। সৌজন্যে পুজো কার্নিভ্যাল। এবার তাদের থিম ‘রাঙামাটির বাংলা’।
প্রতিবারের মতো এবারও আলোকজ্জ্বল কার্নিভ্যালের সাক্ষী হতে চলেছে তিলোত্তমা। কার্নিভ্যালে অংশ নেওয়ার জন্য কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও শহরতলির বেশ কিছু বড় পুজোর প্রতিমা বিসর্জন হয়নি। যদিও উদ্যোক্তারা রীতি মেনে ঘট বিসর্জন করেছেন দশমীতেই। এবারের কার্নিভ্যাল ১১ অক্টোবর, শুক্রবার। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এবারও আলো ঝলমল হয়ে উঠেছে রেড রোড। প্রস্তুতি একেবারে শেষের দিকে। কলকাতায় অবস্থিত প্রতিটি বিদেশি দূতাবাসের কর্তা-সহ শিল্প ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট জনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। থাকছে হাজার পাঁচেক বসার আসন। সাধারণ মানুষের যাতে বৃষ্টিতে কার্নিভ্যাল দেখতে সমস্যা না হয়, তার জন্যও থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা।
গোটা রেড রোডজুড়ে তৈরি হয়েছে অস্থায়ী মণ্ডপ। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর সূত্রের খবর, এবছর শহরের ৭৯টি এবং সংলগ্ন জেলা থেকে আরও কয়েকটি পুজো এই কার্নিভ্যালে অংশ নেবে। দুপুর ২টোর মধ্যে ক্লাবগুলিকে প্রতিমা নিয়ে রেড রোডে পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই কার্নিভ্যালে নতুন কিছু তুলে ধরার পরিকল্পনা করে থাকেন উদ্যোক্তারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য অতিথিদের সামনে চলে সেয়ানে-সেয়ানে লড়াই। অন্যকে টপকে যেতে কার্নিভ্যালের প্রস্তুতি নিয়েও গোপনীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা করেন সদস্যরা। এবার কোন পুজো কী চমক দেয়, সেই অপেক্ষারই প্রহর গুণছেন পুজোপ্রেমীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.