গৌতম ব্রহ্ম: মহালয়ার আগেই দুর্গাপুজোর (Durga Puja) উদ্বোধন হয়ে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। প্রতিপদে কলকাতার আরও কয়েকটি পুজোর ভারচুয়াল সূচনা করলেন তিনি। রবিবার মূলত বেহালা ও নিজের কেন্দ্র ভবানীপুরের বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করে দূর থেকেই সেসব দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। এদিন বারবারই তিনি স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছিলেন। কালীঘাট মিলন সংঘের পুজোমণ্ডপ ভারচুয়ালি (Virtually) দেখে বাবার কথা বললেন মমতা। সকলকেই জানালেন, এ বছর পায়ের ব্যথার জন্য তিনি সশরীরে কোথাও যেতে পারছেন না। তবে আশ্বাস দিলেন, ২৭ অক্টোবর পুজো কার্নিভালের দিন দেখা হবে সবার সঙ্গে। অর্থাৎ তার আগে পর্যন্ত তিনি যে ঘরেই থাকবেন, তাও স্পষ্ট হয়ে গেল রবিবার।
রবিবার বেহালার বেশ কয়েকটি ক্লাবের পুজোর সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মণ্ডপ, প্রতিমার প্রশংসা করেন। নিজের পাড়া কালীঘাট (Kalighat) মিলন সংঘের পুজো উদ্বোধনের সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। জানান, তাঁর বাবা এই ক্লাবের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এখনও তাঁর দেখানো পথেই পুজো হয়ে চলেছে, এটা তাঁর কাছে আনন্দের। এই ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর দাদাও। তাঁর সদ্যই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে। তাই দাদাকে ভারচুয়াল মাধ্যমে দেখে কিছুটা ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। অসুস্থ শরীর নিয়ে কেন মণ্ডপে গিয়েছেন দাদা? এর পর ক্লাবকর্তাদের অনুরোধের সুরে বলেন যে দাদাকে যেন বেশি দায়িত্ব না দেওয়া হয়।
ভবানীপুর ঐকতান ক্লাবের পুজোমণ্ডপে এদিন উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য় সভাপতি সুব্রত বক্সি। ভারচুয়ালি তাঁকে দেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”সুব্রতদা, আমার নামে ওখানে ১০১ টাকার পুজো দিয়ে দেবেন। আর আমাকে ভোগ পাঠাবেন।” এদিন প্রায় প্রতিটি পুজোর উদ্বোধনেই মুখ্যমন্ত্রী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন, কার্নিভালে সকলের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এ বছর এখানকার পুজো দেখতে এসেছেন ইউনেস্কো (UNESCO) প্রতিনিধিরা। তাঁদের যেন আপ্যায়ণের ত্রুটি না হয়, সেদিকে নজর রাখার কথা বারবার ক্লাব কর্তাদের মনে করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.