স্টাফ রিপোর্টার: আগে বিসর্জনের পর গঙ্গায় পড়ে থাকত প্রতিমার কাঠামো। দূষণ রুখতে বর্তমানে প্রতিমা আর জলে ফেলে রাখা হয় না। নিরঞ্জনের সঙ্গে সঙ্গে ক্রেন দিয়ে প্রতিমা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু ক্রেন দিয়ে প্রতিমা তুলতে সময় লাগছে। সেইসঙ্গে দৃশ্য দূষণ হচ্ছে। তাই এবার নয়া সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার।
কলকাতা পুরসভার (KMC) তত্ত্বাবধানে ১৬টি ঘাটে বিসর্জনপালা চলছে। বৃহস্পতিবারও ঘাট পরিদর্শনে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এদিন তিনি বলেন, ক্রেন দিয়ে জল থেকে প্রতিমা তুলতে সময় লাগছে। প্রতিমা তোলার সময় দৃশ্য দূষণও হচ্ছে। তাই এবার প্রতিমা নিরঞ্জনের কাজে ভাসান কুলি রাখা হবে। বিসর্জন দেওয়া মাত্রই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভাসান কুলিরা জল থেকে দ্রুত প্রতিমা তুলে আনবেন।
শহরে প্রায় ৪ হাজার পুজো হয়। এরমধ্যে বারোয়ারি পুজোর সংখ্যা প্রায় ২৭৫৭টি। শনিবার পর্যন্ত বিসর্জন চলবে। পুরসভা সূত্রে খবর, দশমীর দিন রাত পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার প্রতিমা ভাসান দেওয়া হয়েছে। দশমীতে দুপুরবেলায় বাবুঘাটে পুরসভার ক্রেনের ধাক্কায় আহত হন এক শিশু-সহ বেশ ক’য়েকজন। দুর্ঘটনার পর আরও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে ঘাটগুলিতে। আগেই ঘাটে নামতে দেওয়া হচ্ছিল না। এখন ঘাটের পাড়ে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। মেয়র বলেন, ‘‘সব ব্যবস্থা ঠিক আছে। পুলিশ, পুরসভা, বিপর্যয় মোকাবিলা টিম রয়েছে। কেউ যাতে ঘাটে নামতে না পারেন সেদিকে প্রশাসনের কড়া নজরদারি রয়েছে।’’
এদিকে দূষণ ঠেকাতে জলাশয়ে বির্সজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে বির্সজনের সংখ্যা নগণ্য। এ প্রসঙ্গে মেয়রের বক্তব্য, কৃত্রিম জলাশয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবুও গঙ্গায় বির্সজনের সঙ্গে ধর্মীয় আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। তাই মানুষ ঘাটে আসছেন। অন্যদিকে বিসর্জন চলাকালীন এদিন সকালে বাজেকদমতলা ঘাটে এক ব্যক্তির দেহ ভেসে আসে। দেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মেয়র বলেন, মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানা জায়নি। পুলিশ তদন্ত করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.