ফাইল
বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে শারদীয় উৎসবে রাজ্যে প্রায় বারোশো প্রগতিশীল পুস্তক বিক্রয় কেন্দ্র চালাচ্ছে বামপন্থী (Left Front) দলগুলো। এর মধ্যে ৯০ ভাগ সিপিএম (CPM) পরিচালিত। বাকি আরএসপি, সিপিআই, এসইউসিআই ও সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের। দেশজুড়ে যখন সরকারি সহযোগিতায় ধর্ম নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে, তখন বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন বামপন্থী নেতৃত্ব।
রাজ্যসভায় এক। লোকসভা ও বিধানসভায় শূন্য। সংসদীয় রাজনীতিতে বাংলার বামপন্থীরা এখন কার্যত অপ্রাসঙ্গিক। যদিও দক্ষিণ ভারতের কেরল (Kerala), তামিলনাড়ুতে বামেদের উজ্জ্বল অবস্থান রয়েছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম রাজ্য বিধানসভায় বামেরা নিশ্চিহ্ন। তখন প্রশ্ন উঠছিল শারদোৎসবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বামেদের ভূমিকা কী হবে। কারণ, প্রতি বছর নিয়ম করে রাজ্যজুড়ে প্রগতিশীল বইয়ের দোকান খুলে বসাটা ছিল বামপন্থীদের রীতিনীতি। বই বিক্রির পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রচার চালানো হতো।
কিন্তু শূন্য হয়ে যাওয়া বামেরা এবার কি বইয়ের দোকান (Book Stall) খুলে বসতে পারবে? ঘুরেফিরে আসছিল সেই প্রশ্ন। বিভিন্ন মহল থেকে ঠাট্টা, তামাশা ও কটূক্তিও শুনতে হয়েছে। কিন্তু শত্রুর মুখে ছাই ঢেলে এবার শারদোৎসবে বুক স্টলের সংখ্যা আগের তুলনায় বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দিল বামপন্থী দলগুলো। আগে রাজ্যজুড়ে হাজার খানেক স্টল হলেও এবার বেড়েছে দু’শোর বেশি। বই বিক্রির পরিমাণ বাড়বে বলেই আশা আলিমুদ্দিনের। শুধুমাত্র যাদবপুরের স্টল থেকে অষ্টমী রাত পর্যন্ত দু লক্ষ টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছে বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের।
সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী জানান, মার্কসীয় ও প্রগতিশীল সাহিত্যের বই বিক্রি করাটা বামেদের রীতি। সেই দেখাদেখি অন্যান্য রাজনৈতিক দল এখন স্টল খুলে বসে। শারদোৎসবে শামিল হওয়ার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রচার তীব্র করতেই স্টল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.