কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: দমদম পার্ক শুট আউটে নতুন মোড়। গুলি চালানোর ঘটনায় আগেই উঠে এসেছে রাজেশ নায়েকের নাম। সেই রাজেশ এখন দমদম সেন্ট্রাল জেলে বন্দি। সেই জেলে বসেই রাজেশ তার ভাইকে কাজে লাগিয়ে নেটওয়ার্ক সাজিয়ে তোলা চেয়ে হুমকি দেওয়ার মতো কাজ করছে বলে মনে করছে পুলিশ। তাই জেলে গিয়েই তাকে পুলিশ জেরা করতে পারে বলে খবর।
[একবছরেই শেষ হবে কাজ, মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরির বরাত পেল পাঞ্জাবের সংস্থা]
ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাবু নায়েক ঘটনার পর থেকে ফেরার। শনিবার ঘটনার দিন রাতেই তার তিন শাগরেদকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যদিও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, বাবুর খোঁজে হায়দরাবাদ, ওড়িশা ও মেদিনীপুরে পাড়ি দিতে পারেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তদন্তে আরও স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজেশের ভাই বাবুর কাছ থেকে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন প্রমোটার হুমকি ফোন পেয়েছেন। পুলিশের অনুমান, রাজেশ নির্দেশে তার ভাই বাবু নায়েক ওই এলাকায় তোলাবাজি চালাচ্ছে। আর জেলে বসেই এই গোটা প্রক্রিয়াটা চালাচ্ছে রাজেশ নিজে। তাই আজ সোমবারই রাজেশকে জেরা করতে আদালতের অনুমতি নিতে পারে পুলিশ। অন্যদিকে, ঘটনার তদন্ত চলছে বলে এ নিয়ে শেখর ও চিরদীপের পরিবারের কেউই মুখ খুলতে চাননি। চিরদীপ নিজেও এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে দুই বন্ধুর প্রমোটারির ব্যবসা নিয়ে অন্ধকারে রয়েছেন উভয়েরই স্ত্রী। চিরদীপ আগে বিমা সংস্থার এজেন্ট ছিলেন। হোসিয়ারির ব্যবসা ছিল শেখরের। দু’জনেই পরে প্রমোটারির কাজে নামে। ইতিমধ্যে কিছু কাজও করেছেন তাঁরা। অথচ দু’জনেরই স্ত্রী এক সুরে জানিয়েছেন, তাঁদের স্বামীর এই ব্যবসায় তাঁরা নাক গলাতেন না। এমনকী, সেই নিয়ে বিশেষ কিছু জানেনও না। তবে ঘটনার পর বাবু বা রাজেশের হুমকি ও গুলি চালানোর পর থেকে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন শেখর ও চিরদীপের পরিবার।
[পাতালে মশার আঁতুড়ঘর, শহরের লাইফলাইনে ভরসা শুধুই স্প্রে]
তবে যার নাম ঘিরে আতঙ্ক বিরাজ করছে দমদম পার্ক-সহ গোটা চত্বরে, সেই বাবু নায়েকের বাড়িতে তালা। ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে আরতি হরিজন পল্লি। তার কাছে এক সরু গলিতে খালের ধারে একটি দেড়তলা বাড়ি রয়েছে এলাকার একদা ত্রাস রাজেশ নায়েকের। রাজেশ জেলে যাওয়ার পর সে বাড়িতে থাকত বাবু। বাবুও এখন ফেরার। বাড়ির এক ভাড়াটিয়া জানালেন, “বছর দেড়েক আগে রাজেশের স্ত্রী গৌতমী নায়েক তাঁদের ভাড়া দিয়ে চলে গিয়েছেন।” নায়েকদের কোনও খোঁজ তাঁদের কাছে নেই বলেই জানিয়েছেন ওই মহিলা। তবে কারও সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলে কাকে তাঁরা ওই বাড়ির ভাড়া দিচ্ছেন তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। ফলে বাবুর খোঁজ পেতে তাঁদের উপরও নজরদারি চলছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বাবু নায়েক বনাম আর এক বিচারাধীন বন্দি দুষ্কৃতী গেদুর দলের রেষারেষি বেড়েছে। দুর্গাপুজোর সময় দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.