রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপি সদর দপ্তরের একেবারে উলটো দিকের গলিতেই হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। তারপর থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা যেন পিছু ছাড়ছে না গেরুয়া শিবিরের। এই পরিস্থিতিতে সতর্কতার স্বার্থে মুরলিধর সেন লেনে বিজেপির সদর দপ্তরে নেতাকর্মীদের আসা বন্ধ করে দেওয়া হল।
মুরলিধর সেন লেনের বিজেপির সদর দপ্তরে নিয়ম করে প্রতিদিনই বহু নেতানেত্রী যাতায়াত করেন। কিন্তু সেখানেই বিপদের আশঙ্কা। সূত্রের খবর, বিজেপির সদর দপ্তরের উলটো দিকের গলি দিয়ে ঢুকে সোজা বাড়িটিতেই নাকি হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। জানা গিয়েছে, ওই বাড়িটির তিনতলাতেই ২০১৬ সালে ছিল বিজেপির কল সেন্টার। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছেও করোনা হানার খবর পৌঁছে গিয়েছে। ওই বাড়ির মোট সাতজন সদস্যকে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে তাঁদের মধ্যে একজনেরই নমুনা পরীক্ষায় মিলেছে করোনার প্রমাণ। বাকিরা রয়েছেন কোয়ারেন্টাইনে। তাই সংক্রমণের আশঙ্কায় বাড়িটি আপাতত সিল করে দিয়েছে পুলিশ।
আর এই খবর পাওয়ামাত্রই করোনা সতর্কতায় রাজ্য বিজেপি দপ্তরে নেতা-কর্মীদের আসা ফের বন্ধ হয়ে গেল। সোমবার থেকেই ৬ নম্বর মুরলিধর সেন লেনে বিজেপির সদর দপ্তরের মূল দরজা বন্ধ রাখা হয়েছে। খুব জরুরি কাজ ছাড়া কোনও শীর্ষ নেতাও এখন আর দলীয় কার্যালয়মুখী হবেন না। এদিকে, আবার নিজের ঠিকানা বদলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। নিউটাউনে টাটা সেন্টারের কাছেই নতুন বাড়ি নিয়েছেন তিনি। তাই আপাতত বিজেপি সদর দপ্তরে তাঁর আসা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
আবার মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির পঞ্চম ভারচুয়াল সভা রয়েছে। দিল্লির দলীয় কার্যালয়ের মঞ্চ থেকে সভায় ভাষণ দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালের। সেই ভারচুয়াল সভায় রাজ্য বিজেপির সভামঞ্চ অবশ্য দলের রাজ্য দপ্তরেই হয়েছে। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সহসভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ভারচুয়াল সভা যেহেতু জরুরি কর্মসূচি, তাই রাজ্য বিজেপি অফিসে এখানকার সভামঞ্চ করা হবে। তবে রাজ্য বিজেপি দপ্তরে আপাতত আর কোনও কর্মসূচি হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.