রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিক্ষোভ যে হবে, তা আগেই জানিয়েছিল বাম-কংগ্রেস। সেই অনুযায়ী রবিবার সকালে অমিত শাহ শহরে পা রাখামাত্রই বিক্ষোভ শুরু বাম-কংগ্রেসের। এদিন বিমানবন্দর, কৈখালি, পার্ক সার্কাস, বেকবাগান, সন্তোষপুর, এন্টালি, ধর্মতলা, গড়িয়াহাট-সহ একাধিক জায়গায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান দুই দলের নেতানেত্রী এবং কর্মী-সমর্থকরা।
রবিবার সকাল প্রায় ১১ টা নাগাদ কলকাতায় অমিত শাহ বিমানবন্দরে পৌঁছন। তিনি শহরে পা রাখামাত্রই বিক্ষোভ শুরু করে বাম-কংগ্রেস। রবিবার সকালে বিমানবন্দরের ১ নম্বর গেটের কাছে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ওই দুই দলের নেতাকর্মীরা। তাঁদের প্রত্যেকের হাতে ছিল কালো পতাকা, কালো বেলুন। এছাড়াও ‘গো ব্যাক অমিত শাহ’ পোস্টারও হাতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের। স্লোগানও দিতে থাকেন তাঁরা। আগে থেকেই পুলিশের কাছে খবর ছিল অশান্তি হতে পারে। তাই বিমানবন্দরের যে রাস্তা দিয়ে অমিত শাহের কনভয় যায়, সেই জায়গাটিতে পুলিশি নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়। বিমানবন্দরের পাশাপাশি সন্তোষপুর, পার্ক সার্কাসেও ‘গো ব্যাক অমিত শাহ’ পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বামেরা। বিক্ষোভকারীরা বলেন,”বিজেপির সঙ্গে সেটিং করেছে তৃণমূল। তাই অনায়াসেই সভার অনুমতি পেয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ। সে কারণেই বিক্ষোভ প্রদর্শন।” অবিলম্বে অমিত শাহের পদত্যাগও দাবি করেন তাঁরা।
এদিকে, রবিবার শহরে দিনভর কর্মসূচি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। মোট ১০০টি জায়গা ছোট ছোট দলে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে বাম-কংগ্রেসের। যাতে বড় কোনও অশান্তি না হয়, সে কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহর। শহিদ মিনারের সভা থেকে কী বার্তা দেন অমিত শাহ, সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.