অভিরূপ দাস: জরুরি কাজের জন্য খুঁজতে হবে না পুরসভার কর্মীদের। খোদ পুরসভা পৌঁছে যাবে বাড়ির দোরগোড়ায়। মিউটেশন করতে হবে অথবা অ্যাসেসেন্ট। বাচ্চার বার্থ সার্টিফিকেটে নামের বানান পরিবর্তন! এমন সব কাজ করতে গিয়ে ফ্যাসাদে পড়েন আমজনতা। অনেক সময় দালাল চক্রের হাতে পড়ে তিনগুণ টাকা চলে যায়। তা ঠেকাতেই এবার ‘দুয়ারে পুরসভা’।
বুধবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ট্যাক্স থেকে শুরু করে অ্যাসেসমেন্ট নানাবিধ কাজের জন্য মানুষকে পুরসভায় যোগাযোগ করতে হয়। বয়স্ক মানুষদের পক্ষে সবসময় পুরসভায় আসা সম্ভব হয় না। সমাধানের জন্য চালু হয়েছে টক টু মেয়র। কিন্তু প্রযুক্তিগত কারণে কলকাতার কয়েক লক্ষ মানুষের ফোন ধরা সম্ভব হয় না মেয়রের পক্ষে। বাধ্য হয়েই অনেকে দালালের শরণাপন্ন হন। তার ফলে একদিকে যেমন কলকাতা পুরসভার আয় কম হয় সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে যায়। তাই এবার মিউটেশন, অ্যাসেসমেন্ট-সহ বিভিন্ন কাজ করার জন্য আধিকারিক নিয়োগ করছে পুরসভা। প্রতিটি ওয়ার্ডের বাড়িতে বাড়িতে যাবেন আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখা হবে সমস্ত নথি।
অনেক পরিত্যক্ত জমির অ্যাসেসমেন্ট হয়নি। অনেক জমিতে জঙ্গল হয়ে গিয়েছে। মশা-মাছির আঁতুরঘর তেমন জমি নিয়ে অভিযোগ আসে অগুনতি। কিন্তু কার নামে জমি তা অজানা থাকায় ব্যবস্থা নিয়ে সময় লাগে। এবার পুর আধিকারিকরা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন। বাড়ির মিউটেশন হয়েছে কিনা দেখা হবে তাও। মেয়র জানিয়েছেন, অ্যাসেসমেন্ট কিম্বা মিউটেশনের কাজ করে জমি, বাড়ির মালিকের হাতে তার শংসাপত্র তুলে দেওয়া হবে। যে আধিকারিকরা এই কাজ করবেন তাদের টাকাও দেওয়া হবে নেবে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে।
মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কথায়, যাতে মানুষ বিভ্রান্তির শিকার না হন সে জন্যই বাড়ি বাড়ি পরিষেবা দেওয়া হবে। বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বাস্থ্যসাথীর মতো কার্ড না থাকলেও তা বাড়ি গিয়ে করে দেবেন পুর আধিকারিকরা। যাদের বাড়িতে গিয়ে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে তাদের থেকে একটা সামান্য টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে নেবে কলকাতা পৌরসংস্থা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.