দীপালি সেন: কলেজে ছেঁড়া জিনস পরে আসা যাবে না। গত বছরই আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস কলেজের এই নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক হয়েছিল। এবছর আরও এক ধাপ এগিয়ে ভরতির আগেই পড়ুয়া ও অভিভাবকদের থেকে সেই মর্মে মুচলেকা নেওয়া হচ্ছে কলকাতার মিন্টো পার্কের এই কলেজে। যা নিয়ে আবারও তীব্র বিতর্ক মাথাচারা দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, কৃত্রিমভাবে ছেঁড়া জিনস পরব না, কোনও রকম অশালীন পোশাক পরব না, এই মর্মে মুচলেকা দিতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। মুচলেকায় অভিভাবকদের সইও করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বিতর্ক যতই হোক, কলেজ চত্বরে শালীনতা বজায়ে নিজ সিদ্ধান্তে অনড় কলেজ কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিকভাবেই কলেজের এই পদক্ষেপে তুমুল বিতর্ক।
এজেসি বোস কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতির বলেন, “গত বছর নির্দেশিকা দিয়েছিলাম। বিতর্কও হয়েছিল। কিন্তু, নির্দেশিকা দেওয়ার পরেও মাঝে মাঝে কয়েকজন ছেঁড়া জিনস পরে চলে আসছে। আমি যেহেতু এটাকে অশালীন বলে মনে করি, তাই কোনও ভাবেই এটাকে বরদাস্ত করব না। তাই নিয়মটাকে আরও কড়া করলাম। ভরতির আগেই নতুন পড়ুয়াদের আগে এফিডেভিট দিতে হবে।” এতে কি ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না? অধ্যক্ষের স্পষ্ট বক্তব্য, “কী পরতে পারবে সেটা কলেজ গেটের বাইরে। কলেজে এলে এখানকার নিয়মশৃঙ্খলা, শালীনতা মানতে হবে। র্যাগিং নিয়েও মুচলেকা নেওয়া হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, গত মার্চ মাসেও এই কলেজের এই ফতোয়া জারি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ছিল। কলেজের দেওয়ালে লাগানো হয়েছিল নোটিস। ছাত্রছাত্রী ও কলেজের কর্মীদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছিল, কেউ যেন ছেঁড়া পোশাক বিশেষত ছেঁড়া জিনস পরে কলেজে না আসেন। এমন পোশাককে রূচিবিরুদ্ধ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যদি ছেঁড়া জিনস বা পোশাক পরে আসা হয় তাহলে টিসি পর্যন্ত দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.