Advertisement
Advertisement
এনআরএস

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ খোয়ালেন শান্তনু সেন

চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরেই কি সরতে হল তৃণমূলের এই চিকিৎসক নেতাকে!

Santanu sen removed from NRS patient welfare committee

ছবি: ফাইল

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:September 6, 2019 3:40 pm
  • Updated:September 6, 2019 6:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসকদের আন্দোলনের পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠনের দায়িত্ব থাকা শান্তনু সেন ও নির্মল মাজি ব্যর্থ হয়েছেন বলে কথা উঠছিল। এর জেরে দল তাঁদের চিকিৎসক সংগঠনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিচ্ছে বলেও খবর ছড়াচ্ছিল। নির্মল মাজির ক্ষেত্রে সেই জল্পনা সত্যি না হলেও ফের পদ খোয়ালেন শান্তনু সেন। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার উন্নয়ন দপ্তর।

[আরও পড়ুন: প্রতারণা মামলায় মুকুলের ‘রক্ষাকবচ’ বাড়াল হাই কোর্ট, গ্রেপ্তারিতে স্থগিতাদেশ]

স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ডা. শান্তনু সেনকে। তাঁর জায়গায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এন্টালির বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহাকে। তবে ওই হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির অন্য যাঁরা সদস্য ছিলেন তাঁদের দায়িত্বের কোনও পরিবর্তন হয়নি।

Advertisement

GO

এনআরএস কাণ্ডের পরেই আর জি কর কলেজ ও হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শান্তুনুকে। দায়িত্বে আসেন সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার। এবার শান্তুনুকে সরানো হলে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকেও।

[আরও পড়ুন: প্রতারণা মামলায় মুকুলের ‘রক্ষাকবচ’ বাড়াল হাই কোর্ট, গ্রেপ্তারিতে স্থগিতাদেশ]

যদিও তৃণমূলের একটা অংশের মতে, আর জি কর এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান থেকে সরানোর ফলে ডা. শান্তুনু সেনের গুরুত্ব কমছে না। বরং তাঁকে আরও বড় দায়িত্ব দিতে চাইছে দল। তাই এই ধরনের পদ থেকে সরিয়ে তাঁর কাজ কমানো হচ্ছে। এনআরএসের ডাক্তারদের আন্দোলনের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই।

যদিও বিরোধীরা বলছে, এনআরএস হাসপাতালে বিক্ষোভ থামানোর বদলে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শান্তনু সেন। বহিরাগত তত্ত্ব খাড়া করে ডাক্তারদের আন্দোলনকে বিপথে পরিচালিত করার চেষ্টা করেছিলেন। যাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে উঠেছিল। তৃণমূলকেও চরম অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়। যদিও পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিক্ষোভ থামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। হিসেব মতো যা করা উচিত ছিল ডা. শান্তুন সেনের।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement