রুপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শুভেন্দু অধিকারীর জন্য বিজেপির রাস্তা এখনও খোলা। দলে এলে উপযুক্ত সম্মান পাবেন, তবে না এলেও বিজেপির (BJP) ক্ষতি হবে না। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাকে নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল গেরুয়া শিবির।
বেশ কিছুদিনের টানাপড়েনের পর শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) তৃণমূল ছাড়ার জল্পনায় আপাত বিরাম পড়েছে। গতকাল রাতে একপ্রকার হঠাতই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের ‘ভোট সেনানায়ক’ প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী। অন্তত তৃণমূলের (TMC) দাবি, “আলোচনা সদর্থক হয়েছে। এবং যাবতীয় সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে।” শুভেন্দুর তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আপাতত তিনি তৃণমূলেই থাকবেন।
রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) থেকে শুরু করে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ পর্যন্ত এতদিন একবাক্যে স্বীকার করে আসছিলেন, শুভেন্দু কাজের লোক। তাই বিজেপিতে এলে তাঁর জন্য দলের উপকারই হবে। পিকে-অভিষেকের সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠকের পরও নিজেদের অবস্থানে খুব একটা বদল করলেন না গেরুয়া শিবিরের নেতারা। শুভেন্দু প্রসঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বললেন, “ভাইপোর (পড়ুন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ছিলেন শুভেন্দু। তিনি কারও কাছে মাথা ঝোঁকাবেন বলে আমি মনে করি না। শুভেন্দু এলে দলে প্রাপ্য সম্মান পাবেন। না এলেও সরকার আমরাই গড়ব।” একই কথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও (Dilip Ghosh)। তিনি বলছেন, “শুভেন্দু তৃণমূলে থাকলেও বিজেপি ধাক্কা খাবে না। আমি আগেই বলেছিলাম শুধু মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। দল ছাড়েননি। উনি বিজেপিতে এলে স্বাগত। দরজা খোলা আছে। আর উনি না এলেও বিজেপি ২০০’র বেশি আসন নিয়ে সরকার করবে।”
শুভেন্দুর দলত্যাগের সম্ভাবনা নিয়ে উৎসাহিত ছিল কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে অস্ফুটে জল্পনা ছড়িয়েছিল, মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র তাদের দলে শামিল হলেও হতে পারেন। কালকের বৈঠকের পর সেই সম্ভাবনা কার্যত শেষ। এ প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলছেন,”দেখে ভাল লাগছে একটা গোটা দল শুভেন্দুর পায়ে পড়ে গিয়েছে। তাঁর মানে তৃণমূলে আর একটাই মুখ নেই। ২৯৪ আসনে আর একজনই প্রার্থী নন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.