প্রতীকী ছবি।
স্টাফ রিপোর্টার: যাদবপুরে ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে তান্ত্রিকের নাম করে ৩২ লক্ষ টাকার সামগ্রী ও নগদ টাকা লুট। লুটপাট করল পরিচারিকা ও গাড়ির চালক। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। থানায় অভিযোগ দায়ের পরই ভয় পেয়ে লুঠের সামগ্রী ফিরিয়ে দিয়েছে তারা।পুলিশি জেরায় অপরাধ স্বীকারও করেছে অভিযুক্ত দীপ্তি মণ্ডল ও জয় সাই। দু’জনকেই গ্রেপ্তার করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ।
[ধর্মের নামে অশান্তি রুখতে পদক্ষেপ, কলকাতায় নিষিদ্ধ অস্ত্র মিছিল]
যাদবপুরের কালীবাড়ি লেনের বাসিন্দা কৌশিক ভট্টাচার্য। পেশায় ব্যবসায়ী কৌশিকবাবু এলাকায় বিত্তবান বলেই পরিচিত। তাঁর বাড়িতে ছ’বছর ধরে পরিচারিকার কাজ করছে মগরাহাটের বাসিন্দা দীপ্তি মণ্ডল। আর ওই ব্যবসায়ীর গাড়ি চালক বিহারের বাসিন্দা জয় সাউ। সে-ও প্রায় বছর পাঁচ বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছেন, সপরিবারে ঘুরতে গিয়েছিলেন কৌশিক ভট্টাচার্য। শনিবার যাদবপুরের বা়ড়িতে ফেরেন তিনি। বাড়ি ফিরেন কৌশিকবাবু ও তাঁর পরিবারের লোকের দেখেন, দরজা ভেজানো। ঠেলতেই খুলে যায় সেই দরজা। ঘরের ভিতরের সমস্ত জিনিস লন্ডভন্ড হয়ে আছে। আলমারির দরজা খোলা। ভিতর থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার গয়না ও নগদ দু’লক্ষ টাকা উধাও। রাতেই যাদবপুর থানায় গিয়ে এফআইআর দায়ের করেন কৌশিকবাবু। রবিবার সকালে যথারীতি কাজে আসে পরিচারিকা দীপ্তি। তাকে চুরির ঘটনা জানান কৌশিকবাবু। বলেন, ‘আমরা থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ তোমাকেও জেরা করবে বলেছে। এখনই থানায় চল।‘ এ কথা শুনেই ভয় পেয়ে যায় দীপ্তি। চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধারের জন্য তার চেনা এক তান্ত্রিকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেয় সে। কৌশিকবাবু রাজিও হয়ে যান। তাঁর দাবি, বাড়ি গ্যারাজে একটি ব্যাগ থেকে গয়না ও নগদ টাকা পাওয়া যায়। গোটা ঘটনার কথা পুলিশকে জানান কৌশিক ভট্টাচার্য। পুলিশে জেরায় ভেঙে পড়ে বাড়ির পরিচারিকা দীপ্তি। তদন্তকারীদের দীপ্তি জানায়, গাড়ি চালক জয় সাউয়ের বুদ্ধিতে এই কাজ করেছে সে। এরপরই অভিযুক্ত দীপ্তি মণ্ডল ও জয় সাউকে গ্রেপ্তার করে যাদবপুর থানার পুলিশ।
[সামনে পঞ্চায়েত ভোট, বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে ধস নামাতে নয়া কৌশল মমতার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.