Advertisement
Advertisement

Breaking News

R G Kar Medical College

আরজি কর হাসপাতালে কুকুরের তাণ্ডব, সারমেয়র কামড়ে ক্ষতবিক্ষত রোগীর আত্মীয়া

ফের রেফার রোগে প্রাণ সংশয় রোগীর।

Dogs beat relative of patient in R G Kar Medical College | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 30, 2022 6:44 pm
  • Updated:April 30, 2022 6:44 pm

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: হাসপাতালে কুকুরের তাণ্ডব। গোদের উপর বিষ ফোঁড়া আবার রেফার রোগ। আর এই দুয়ের জেরে কার্যত প্রাণ সংশয় হল রোগীর। কোনও অজ পাড়াগাঁ নয়, ঘটনাটা ঘটেছে খাস কলকাতায় (Kolkata)। অনেক হাসপাতালে কুকুর-বিড়াল ঘুরে বেড়ায়। তবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজেগুলি। কিন্তু সেই পদক্ষেপ কতটা কাজে এসেছে, এদিনের ঘটনায় তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।

বুধবার আর জি কর হাসপাতালে (R G Kar Medical College) ভরতি রোগীকে দেখে বেরিয়ে আসার সময় উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়া এলাকার বাসিন্দা সাবিনাকে ঘিরে ধরে ১০-১২টা কুকুর। তাঁকে একাধিক কামড় দেয় তারা। ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় বেশকিছুক্ষণ হাসপাতালে ঘুরে বেড়ান ওই মহিলা। অভিযোগ, তার পর ক্ষতস্থান ব্যান্ডেজ করে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর পর সেখানে অ্যান্টি ব়্যাবিস ভ্যাকসিন দিয়ে তাঁকে নীলরতন সরকার হাসপাতালে (NRS Hospital) পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে অন্য আরেকটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল বলে খবর। একাধিক হাসপাতালে ঘুরে সাবিনা মাটিয়ায় ফিরে যান।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ১১ বছর পর খোলনলচে বদল, রাজ্যের স্কুলশিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটি ভেঙে দিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু]

এই ঘটনা ঘিরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, কুকুর তাড়ানো আমাদের কাজ নয়। এর পরই প্রশ্ন উঠছে,এভাবে রোগীর পরিজনেরা যে কুকুরে কামড় খাচ্ছে সেটা রুখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার জবাবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কুকুর তাড়ানো নিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডা. সুদীপ্ত রায় একটি বৈঠক করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সারমেয়গুলিকে তাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান তরুণ রায় জানিয়েছেন, সারমেয়গুলির নির্বীজকরণের ব্যবস্থা করা হবে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে কুকুর, বিড়াল তাড়ানোর জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। কিন্তু দেখা যায়, তারা আবার ফিরে আসে। নীলরতন সরকার হাসপাতালেও এমন ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

এদিকে রেফার রোগ নিয়ে বারবার সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরেও এই মহিলাকে কেন একাধিক হাসপাতালে পাঠানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

[আরও পড়ুন: সাবধান! কলকাতার বাজারে সরষের তেলে মিশছে বিপজ্জনক রাসায়নিক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ