Advertisement
Advertisement
Coronavirus

করোনা আক্রান্তদের মাত্র ৭ দিনের হোম আইসোলেশন ‘অবৈজ্ঞানিক’, ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা

৭ দিনের বিশ্রামে কাটছে না দুর্বলতা।

Doctors say 7 days isolation for COVID-19 positive patients unscientific

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 13, 2022 8:43 am
  • Updated:January 13, 2022 8:45 am  

অভিরূপ দাস: এ যেন মুড়ি মিছরি একদর। এখন ডেল্টা হলেও যা বিশ্রাম মিলবে ওমিক্রন হলেও তাই। নিভৃতবাস নিয়ে আইসিএমআর (ICMR) এর নতুন নিয়ম নিয়ম নিয়ে ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরাই। চোদ্দ নয়, সাত দিন। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এর নয়া “আইসোলেশন রুল” এমনই। যাকে চূড়ান্ত অবৈজ্ঞানিক বলছেন চিকিৎসকরাই।

সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের চিকিৎসকরা এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে ডা. সজল বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই আইসোলেশনের সময়সীমা ভিত্তিহীন। সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার আগেই আমজনতাকে কাজে যোগ দিতে হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘সবসময় সঙ্গম করতে চায়’, স্বামীর চাহিদায় দিশেহারা স্ত্রী গেলেন আদালতে]

উল্লেখ্য, হোম আইসোলেশন কমে যাওয়ার নেপথ্যে নয়ার স্ট্রেনের দুর্বলতা। করোনার ডেল্টা স্ট্রেনে আক্রান্ত হলে ১৪ দিন বিশ্রামে যাওয়ার রীতি ছিল। আইসিএমআর-এর যুক্তি করোনার ওমিক্রন স্ট্রেনে উপসর্গ সামান্য। গলা খুশখুশ, সাধারণ সর্দি-কাশিই দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে ৭ দিনের বিশ্রামেই রোগমুক্তি ঘটছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে অন্য। কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি কোন স্ট্রেনে আক্রান্ত তা বুঝবেন কি করে? কোনও করোনা রোগী ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের কবলে পড়েছেন কি না, তা জানতে ‘জিনোম সিকোয়েন্স’ পরীক্ষা করতে হয়। কিন্তু বাংলায় দৈনিক সংক্রমণ এত দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে যে, এখন আর পজিটিভ রিপোর্ট আসা রোগীর ওই পরীক্ষা হচ্ছে না। ফলে ডেল্টা আর ওমিক্রন রোগী আলাদা করা যাচ্ছে না।

এদিকে দুই রোগীর জন্যেই বরাদ্দ মাত্র সাত দিনের নিভৃতবাস। পার্কস্ট্রিটের ইন্সটিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সের এক স্বাস্থ্যকর্মী সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মাত্র ৭ দিন পরেই তাঁকে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মী জানিয়েছেন, “যতদূর মনে হচ্ছে আমি ডেল্টা স্ট্রেনে আক্রান্ত। ভাইরাল লোড ১৫। এমতাবস্থায় ৭ দিনের মধ্যে কীভাবে কাজে যোগ দেব জানি না।”

[আরও পড়ুন: কলকাতায় ফের শুটআউট, দিনেদুপুরে আমহার্স্ট স্ট্রিটে চলল গুলি, জখম ১]

সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের পক্ষ থেকে ডা. সজল বিশ্বাস জানিয়েছেন, কারা ওমিক্রন স্ট্রেনে আক্রান্ত কারা ডেল্টা স্ট্রেনে, তা নির্ধারণ করা হচ্ছে বা। সকলকেই বলা হচ্ছে ৭ দিনের বিশ্রাম। এটা অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিক। ডা. কবিউল হকের কথায়, “আইসোলেশন পিরিয়ড কমিয়ে মানুষকে একপ্রকার জোর করে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এর ফল হিতে বিপরীত হতে পারে।” সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের অনুমান, দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা সীমিত। অগুনতি ডাক্তার আক্রান্ত হচ্ছেন। কোনওভাবে যাতে চিকিৎসক সংকট না হয় তাই গায়ের জোরে এহেন নিয়ম করা হয়েছে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement