গৌতম ব্রহ্ম: বুকে বর্শা বিঁধে ছিঁড়ে গিয়েছিল হৃদযন্ত্রের ধমনী, ফুটো হয়ে গিয়েছিল বাঁ দিকের ফুসফুস। ওই অবস্থাতেই তিন হাসপাতাল ঘুরে তারকেশ্বর থেকে কলকাতায় এলেন এক যুবক। শেষপর্যন্ত আরজি কর হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে ওই যুবকের বুক থেকে বর্শাটি বের করতে সক্ষম হলেন চিকিৎসকরা। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কোন্নগরের পর এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপককে ‘মার’ প্রাক্তন ছাত্রের]
ওই যুবকের নাম প্রসেন বাউড়ি। বাড়ি হুগলির তারকেশ্বরের রথতলা প্রতিহারপুরে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরিকে কেন্দ্র করে পড়শিদের সঙ্গে বিবাদ চলছিল তাঁদের। বৃহস্পতিবার রাতে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তখনই একটি বর্শা ঢুকে যায় প্রসেনের বুকে। ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় তারকেশ্বর হাসপাতালে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, কোনও চিকিৎসা না করে ওই অবস্থাতেই প্রসেনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। কলকাতায় এসে প্রথমে রোগীকে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান পরিবারের লোকেরা। সেখান থেকে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷
আরজি কর হাসপাতালে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করে প্রসেন বাউড়ির বুক থেকে বর্শাটি বের করেন দুই চিকিৎসক ডা. রাজর্ষি বসু ও ডা. সুমন্ত দাস। অধ্যক্ষ শুদ্ধোদন বটব্যাল জানিয়েছেন, বর্শা ঢুকে ফুসফুস ও ধমনী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্শাটি বের করে ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি মেরামত করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে বাদ গিয়েছে ফুসফুসের একটি অংশ। এখন আইটিইউ-এ ভেন্টিলেশনে রয়েছেন প্রসেন বাউড়ি। তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা সংকটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। কিন্তু কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে সংকটজনক ওই রোগীকে কেন ফিরিয়ে দেওয়া হল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.