অর্ণব আইচ: ছানি অপারেশন করতে গিয়ে চিকিৎসকের গাফিলতিতে চোখ বাদ গেল মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতায়। ইতিমধ্যেই কেপিসি হাসপাতালের ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। যদিও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়াই মেলেনি হাসপাতালের তরফে।
ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসের ৬ তারিখ। ওই দিন সুগার ও চোখের সমস্যা নিয়ে কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি হন যাদবপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ঝুনু দত্ত। ১১ তারিখ ওই হাসপাতালেই ছানি অপারেশন হয় ওই মহিলার। পরিবারের দাবি, অস্ত্রোপচারের দিন বিকেল থেকেই চোখে যন্ত্রণা শুরু হয় রোগীর। অভিযোগ, বিষয়টি একাধিকবার হাসপাতালের নার্স ও যে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ওই ব্যক্তি বিষয়টি তাঁকে জানানো হলেও তাঁরা তাতে গুরুত্ব দেননি। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে অন্য চিকিৎসকের কাছে ওই রোগীকে রেফার করা হয়। তিনি পরীক্ষা করে জানান যে, চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁর আর কিছু করার নেই। ১৪ জানুয়ারি কেপিসি থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় ঝুনু দেবীকে। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমলজিতে। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান যে, ভয়ংকর সংক্রমণ হয়েছে ওই মহিলার চোখে। তাই প্রাণ বাঁচাতে তার চোখটাই বাদ দিতে হবে। বাধ্য হয়ে অস্ত্রোপচার করে বাদ দিতে হয় মহিলার চোখ।
ঘটনার পরই অভিযুক্ত চিকিৎসক পার্থপ্রতিম মণ্ডলের বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে রোগীর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবন ও রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলেও। প্রসঙ্গত এই প্রথম নয়, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালের গাফিলতিতে হাত বাদ গিয়েছিল এক নিউমোনিয়া রোগীর। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার কলকাতায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.