স্টাফ রিপোর্টার: হেপাটাইটিস, ডিপথেরিয়ার মতো মারণ রোগ ঠেকানোর প্রতিষেধক। সবই মেয়াদ উত্তীর্ণ! দুধের শিশুকে এই মেয়াদ উত্তীর্ণ ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ উঠল শহরের প্রসিদ্ধ এক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিশুটির পরিবার। অভিযোগ জানানো হয়েছে যাদবপুর থানাতেও। ৬ এপ্রিলের ঘটনা। ক্ষোভে ফুঁসছে শিশুটির পরিবার। দায় এড়াতে ক্ষমা চেয়ে পার পেতে চাইছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক।
জন্মানোর পর নির্দিষ্ট কিছু ভ্যাকসিন দিতে হয় শিশুকে। সেইমতো টালিগঞ্জের সুমন ঘোষ আর পাললিকা ঘোষ তাঁদের দেড় বছরের পুত্র সন্তানকে নিয়ে যান গল্ফ গ্রিনে। শিশুটির মায়ের কথায়, গল্ফ গ্রিনে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অভিজিৎ রক্ষিতকে দীর্ঘদিন ধরেই দেখাই। তাঁর কাছেই ছেলেকে নিয়ে যাওয়া হয়। হেপাটাইটিস বি ও ডিপিটি ভ্যাকসিন দেন চিকিৎসক। ভ্যাকসিন দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ভ্যাকসিনের কাগজ শিশুটির পরিবারের হাতেই তুলে দেওয়ার নিয়ম। সে কাগজে চোখ পড়তেই চক্ষু চড়কগাছ পরিবারের। একমাস আগেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে ওষুধ। মেয়াদ উত্তীর্ণ সেই ভ্যাকসিনই দেওয়া হয়েছে একরত্তিকে। শিশুটির বাবার অভিযোগ, “দায়িত্বজ্ঞানহীন চিকিৎসক কীভাবে এই কাজ করলেন বুঝতে পারছি না। আজ আমার ছেলের কিছু হয়ে গেলে তার দায় কে নেবে?” ঘটনার পরেই যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুটির পরিবার। চিকিৎসক নিঃস্বার্থ ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। বলেছেন, “আমার ভুল হয়ে গিয়েছে।” কিন্তু এই ভুলের দায় কে নেবে? উঠেছে প্রশ্ন।
তবে চমকের তখনও কিছু বাকি ছিল। ওই চিকিৎসকের চেম্বারের ফ্রিজ খুলে দেখা যায়, সেখানে রাশি রাশি ভ্যাকসিন। সবকটাই মেয়াদ উত্তীর্ণ।তহবে কি আরও কোনও শিশুকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল ? শিশুটির পরিবারের এই প্রশ্নের সন্তোষজনক কোনও উত্তর দিতে পারেননি চিকিৎসক। ওই শিশুর পরিবারের দাবি, ভুলের দায় নিতে হবে চিকিৎসককেই। রোগব্যাধি আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ এই সমস্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। সেখানে যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ ভ্যাকসিন দেওয়া হয় তাতে কী আদৌ রোগব্যাধি ঠেকানো যাবে? গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.