Call for outdoor closure of all hospitals in the state is from doctors associations
অর্ণব আইচ: কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের যৌন নির্যাতন, মৃত্যু ঘিরে কার্যত টলে গিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা। ঘটনার প্রতিবাদে দিকে দিকে সরকারি হাসপাতালগুলিতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক তদন্তে যে যে তথ্য হাতে এসেছে, তা যথেষ্ট চাঞ্চল্যকর। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের মোবাইলে ভর্তি নীল ছবি। মদের নেশায় সে চুর ছিল! ঠিক কোন পথে তাকে নাগালে পেল পুলিশ, তাও প্রকাশ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সঞ্জয় রায় সিভিক ভলান্টিয়ার। ওই দিন তাঁর ডিউটি ছিল আর জি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) ওই বিভাগে। তবে হাসপাতালে তার যাতায়াত ছিল নিয়মিত। ঘটনার দিন সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই মূলত পুলিশ তাকে নাগালে পায়। জানা যাচ্ছে, ওই রাতে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট সে ছিল চেস্ট বিভাগের সেমিনার রুমের কাছে। রাতে তরুণী ও তাঁর সঙ্গীরা সেমিনার রুমে খাওয়াদাওয়ার করেন, একসঙ্গে অলিম্পিকের (Olympic) ম্যাচও দেখেন। এর পর সঙ্গীরা চলে যান। একাই সেমিনার রুমে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ বুঝতে পেরেছে, ঘুমের মধ্যেই তাঁর উপর আক্রমণ হয়। নেপথ্যে সম্ভবত সঞ্জয়ই। যৌন হেনস্তার (Physical Harrassment)মুখে পড়ে প্রতিরোধ করেন তরুণী। তখনই তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।
পুলিশ জানতে পারে, এই ঘটনার আগে ও পরে সঞ্জয় মদ্যপান (Drink) করেছিল। তার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ জানিয়েছে, তাতে ভর্তি নীল ছবি! সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ ছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া সঞ্জয়ের ছেঁড়া ব্লুটুথও পুলিশকে সাহায্য করেছে তাকে নাগালে পেতে। সূত্রের খবর, কুকীর্তির পর সে নাকি পুলিশকে জানায়, ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে সে। ফাঁসির সাজা নিতে প্রস্তুত! তাতেই পুলিশ রীতিমতো হতভম্ব। প্রশ্ন উঠছে সঞ্জয়ের মানসিক স্থিতি নিয়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.