প্রতীকী ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: ছেলেকে হারিয়েছেন মাস দুয়েক আগে। অভিযোগ, ভুল চিকিৎসা প্রাণ কেড়েছে সন্তানের। গাফিলতি ছিল চিকিৎসকের। ‘সুবিচার’ পেতে মুখ্যমন্ত্রীর ‘দ্বারস্থ’ও হয়েছিলেন। অবশেষে হাতের কাছে সেই চিকিৎসককে পেয়ে ‘মাথার ঠিক’ রাখতে পারলেন না সন্তানহারা বাবা-মা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে রীতিমতো দৌড় করালেন সেই ডাক্তারকে। অভিযোগ, সেই চিকিৎসককে মারধরও করেছেন বৃদ্ধ দম্পতি।
দীপঙ্কর পাল। বছর ২৩-এর যুবক। ক্যানসারে ভুগছিলেন। গত ১৯ নভেম্বর তাঁরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৩ তারিখ ছেড়েও দেওয়া হয়েছিল। ২৯ নভেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর। সন্তানহারা বাবা দেবাশিস পালের অভিযোগ, ছেলের সঠিক চিকিৎসা হয়নি। হাসপাতালে ভর্তি করে চারটি উচ্চ মাত্রার কেমো দেওয়া হয়েছিল। তাতেই মৃত্যু হয় দীপঙ্করের। এই অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর পোর্টালে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সূত্র ধরেই বুধবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা: স্বর্ণবিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ডেকে পাঠানো হয়। তাঁকে সামনে দেখে আর মাথা ঠিক রাখতে পারেননি সদ্য ছেলেহারা বাবা। অভিযোগ, চিকিৎসককে রীতিমতো তাড়া করেন বৃদ্ধ দম্পতি। বলতে থাকেন, “আপনি আমার ছেলেকে মেরেছেন।” মেডিক্যাল কলেজের সুপারের বিল্ডিংয়ের সামনে রীতিমতে দৌড়তে থাকেন। এমনকী, তাঁকে নিগ্রহও করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন দেবাশিস পাল ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের দাবি, ছেলেকে হারানোর শোকে মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। তবে মারধর করিনি। এদিকে চিকিৎসক ডা: স্বর্ণবিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ঠিক না। কোনও চিকিৎসকই রোগীর মৃত্যু চান না। তবে এরকম ক্যানসারের রোগীদের বাঁচিয়ে রাখা কঠিন।” পুরো বিষয়টি স্বাস্থ্যভবনে জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.