Advertisement
Advertisement

Breaking News

চিকিৎসক নিগ্রহ

ফের এসএসকেএম-এ তাণ্ডব খিদিরপুরের বাসিন্দাদের, চিকিৎসককে বেধড়ক মার

একজনকে গ্রেপ্তার করে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ৷

Doctor assaulted again in Kolkata's SSKM Hospital

ফাইল ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 12, 2019 12:51 pm
  • Updated:August 12, 2019 2:01 pm  

অর্ণব আইচ: ফের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ল কলকাতায়৷ মৃত রোগীর পরিবারের হাতে নিগৃহীত হলেন এসএসকেএম-এ কর্তব্যরত আরএমও মৃণালেন্দু দাস৷ তাঁকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগে ভবানীপুর থানার পুলিশ ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷

[আরও পড়ুন: বেপরোয়া বাইক চালককে আটক, বদলা নিতে থানায় ঢুকে পুলিশকে মারধর অনুগামীদের]

ঘটনার সূত্রপাত সোমবার ভোরে৷ রবিবার কিডনির সমস্যা নিয়ে এসএসএকেএমে ভরতি হয়েছিলেন খিদিরপুরের বসিন্দা মহম্মদ আকবর৷ সোমবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়৷ এরপরই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে চড়াও হন তাঁর পরিবারের সদস্যরা৷ কর্তব্যরত আরএমও মৃণালেন্দু দাসকে চড়, থাপ্পড় মারার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে তাদের বিরুদ্ধে৷ বাধা দিতে গিয়ে প্রহারের মুখে পড়েন আরও এক চিকিৎসক৷ ঘটনার জেরে সকালে বেশ কিছুক্ষণ থমকে যায় হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা৷ মৃতের পরিবারের অভিযোগ, রবিবার হওয়ায় ওই দিন হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা ছিল অত্যন্ত কম৷ তাই একঘণ্টা ধরে মহম্মদ আকবরের শ্বাসকষ্ট হলেও, অক্সিজেন সিলিন্ডার বদলে দেওয়া হয়নি৷ যার ফলে তিনি মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন৷ এবং তারপরই চিকিৎসকের উপর চড়াও হয় তারা৷
এসএসকেএমে ফের অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভবানীপুর থানার পুলিশ৷ অভিযুক্ত সন্দেহে দু’জনকে প্রথমে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ মহম্মদ সাজিদ নামে এক ব্যক্তিকে পরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ তার বিরুদ্ধে চিকিৎসক নিগ্রহ এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের মতো গুরুতর অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে৷ তবে নিগৃহীত চিকিৎসক বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই এই মামলা রুজু করে৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: বান্ধবীর জন্মদিনের রাতে হেলমেট ছাড়াই জয়রাইড, বাইপাসে দুর্ঘটনায় মৃত্যু তরুণের]

মাস দুয়েক আগে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে ব্যাপক মারধরের ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল শহরে৷ সেবারও নাম জড়িয়েছিল খিদিরপুরের একদল বাসিন্দার৷ রোগীর পরিবারের এহেন হিংসাত্মক আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যজুড়েই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল সরকারি হাসপাতালগুলি৷ কর্মবিরতি, বিক্ষোভের জেরে প্রায় ধসে পড়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা৷

এর প্রতিকারে নিজে আসরে নেমে বেশ কয়েকটি নিয়ম চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যার মধ্যে অন্যতম ছিল, হাসপাতালে আউটডোরের বাইরে কোলাপসিবল গেট দিয়ে অবাঞ্ছিত মানুষজনের যাতায়াত রুখে দেওয়া হবে৷ ২৪ ঘণ্টা পুলিশের নজরে থাকবে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা৷ সেইমতো কাজও শুরু হয়েছিল৷ কিন্তু তারপর সকালে কীভাবে এসএসকেএমে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই৷ আক্রমণকারীদের পরিচয় নিয়েও তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement