সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: পুলিশের হাজার অনুরোধেও মরণাপন্ন রোগীর চিকিৎসার বিষয়ে এবার পোস্তা থানার পুলিশকেও ফিরিয়ে দিল হাসপাতাল। অনুনয়-বিনয় সত্ত্বেও তাদের কথা শুনলেন না মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আন্দোলনকারী ডাক্তাররা। হাসপাতালে ভরতি তো দূরের কথা, রোগী বহনকারী পোস্তা থানার পুলিশের জিপও ঢুকতে দেওয়া হল না হাসপাতালে। বন্ধ করে দেওয়া হল হাসপাতালের গেট।
[আরও পড়ুন: অচলাবস্থার দায় নিয়ে পদত্যাগ এনআরএসের সুপার এবং প্রিন্সিপালের]
বৃহস্পতিবারে পড়ন্ত বিকেল। এই সময় পোস্তার ফুটপাতে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন ফুটপাতবাসী এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে দেখে ফুটপাতেই ভিড় জমে যায়। এই অবস্থা নজরে আসে পোস্তা থানার টহলদারি পুলিশের। তখনই পুলিশ অসুস্থ ওই ব্যক্তিকে থানার জিপেই তুলে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়। থানার জিপে চাপিয়েই ওই অসুস্থ ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু তখন চলছিল হাসপাতালে ডাক্তারদের চরম আন্দোলন। পুলিশের জিপ দেখে আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের গেট বন্ধ করে দেন। ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে এবার শহরের সমস্ত হাসপাতালের আউটপোস্টে পুলিশি নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হল। পাশাপাশি একজন ডিভিশনাল ডিসি ও এসি-র নেতৃত্বে হাসপাতালগুলিতে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন থাকবে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এনআরএস, এসএসকেএম, মেডিক্যাল কলেজ-সহ শহরের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। শহরের সমস্ত হাসপাতালের আউটপোস্টে বর্তমানে পুলিশের সংখ্যা রয়েছে ৩৪৪। প্রয়োজনমতো এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে লালবাজারের পদস্থ কর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি এনআরএস কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম নগরপাল (এসটিএফ) শুভঙ্কর সিনহা সরকারকে। বৃহস্পতিবার লালবাজারের এক গোয়েন্দাকর্তা জানিয়েছেন, এনআরএস-এর ভিডিও ফুটেজ এসেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে। সেই ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তারও রোগীর আত্মীয়দের পেটাচ্ছেন। সেই ফুটেজ অনুযায়ী ওই ডাক্তারদের চিহ্নিত করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আসুন’, ফের ডাক্তারদের সমর্থনে পোস্ট ফিরহাদ-কন্যার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.