সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিষেকের কর্মসূচির মাঝে বীরবাহা হাঁসদার কনভয়ে হামলা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। হামলাকারীরা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে ইট ও পাথরবৃষ্টি করে বলেই দাবি। তাই এই বিক্ষোভকারীরা কুড়মি নন বলেই কার্যত ক্লিনচিট দিয়ে বিজেপিকে দায়ী করা হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও কেন একের পর এক কুড়মি নেতা গ্রেপ্তার হচ্ছেন, সে প্রশ্ন তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জঙ্গলমহলে কোনও বিজেপি কর্মী গায়ে হাত আগুন জ্বলবে বলেও হুঁশিয়ারি তাঁর।
গত ২৬ মে, গড় শালবনিতে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে কুড়মিরা বিক্ষোভ দেখায় বলেই অভিযোগ। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা-সহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথরবৃষ্টি চলে। তাতে বীরবাহার গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। তাঁর চালকের চোখে মারাত্মক আঘাত লাগে। এছাড়াও অল্পবিস্তর জখম হন বেশ কয়েকজন। এই ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় অভিষেকের। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুড়মির বিবৃতির দাবিও জানান। কুড়মিদের কার্যত ক্লিনচিট দিয়ে বিজেপিকে দায়ী করেন তিনি। অভিষেকের কথা মতো হামলার মাত্র ১৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন কুড়মিরা। জানিয়ে দেন এই হামলার সঙ্গে তাঁরা কোনওভাবেই জড়িত নন। ঘটনার সমালোচনাও করেন।
সোমবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণের পর দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। বলেন, “জঙ্গলমহলে বিজেপি কর্মীর গায়ে হাত দেবেন না, জ্বলে যাবে। বিজেপি কর্মীদের গায়ে হাত দিলে জঙ্গলমহলে ঢুকতে পারবেন না। তৃণমূলের কোনও নেতাকে জঙ্গলমহলে থাকতে দেব না। এই আন্দোলন কালীঘাট অবধি যাবে।” জনসংযোগে তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি ‘নবজোয়ার রেডিও’ নিয়েও খোঁচা দেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, “ওটা নবজোয়ার নয়। ধরনা জোয়ার। বিক্ষোভ জোয়ার। তাই রেডিওই ভাল। সামনে গেলেই তো লোকে চোর চোর বলবে। আর গাড়ি আটকাবে।” দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.