Advertisement
Advertisement
Local trains

লোকাল ট্রেনে ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কী ভূমিকা, আজ বৈঠকে জেলাশাসক, পুলিশ সুপাররা

স্বরাষ্ট্রসচিবের ডাকে বিকেলে নবান্নে রাজ্যের প্রস্তুতি বৈঠক।

DM, SPs will meet at Nabanna today to discuss about crowd control of local trains | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 9, 2020 8:47 am
  • Updated:November 9, 2020 3:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝে আর একটা মাত্র দিন। তারপরই রাজ্যবাসীকে স্বস্তি দিয়ে গড়াবে লোকাল ট্রেনের (Local Trains) চাকা। করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে, নিউ নর্মালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুষ্ঠুভাবে যাত্রী পরিষেবা দিতে রবিবার থেকেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে শুরু করেছে রেল। এই অবস্থায় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে সোমবার বিকেলে নবান্নে (Nabanna) বৈঠক ডাকলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। যেসব জেলার মধ্যে যোগাযোগের বড় মাধ্যম লোকাল ট্রেন, তেমন ১০টি জেলার পুলিশ সুপার, কমিশনার, জেলাশাসকদের নিয়ে হবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। অন্যদিকে, লোকাল ট্রেনের ভিড় নিয়ন্ত্রণে আজই কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হতে চলেছে মামলা।

করোনা, লকডাউনের জেরে দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস পর এ রাজ্যে চালু হতে চলেছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা দিতে রবিবার থেকে ধাপে ধাপে কাজ শুরু করেছেন হাওড়া, শিয়ালদহ শাখার রেলকর্মী, আধিকারিকরা। রবিবার দিনভর বিভিন্ন স্টেশন, ট্রেন স্যানিটাইজ করা হয়। সোমবার থেকে স্টেশনগুলিতে টিকিট কাউন্টার খুলে শুরু হবে মান্থলি পুনর্নবীকরণের কাজ। তৈরি হচ্ছে রাজ্যও। রাজ্যের আবেদন মেনে নিত্যযাত্রীদের চাপের কথা ভেবে প্রাথমিক পরিকল্পনা থেকে সরে এসে ট্রেন সংখ্যা বাড়িয়েছে রেল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বুধবার থেকে বন্ধ হচ্ছে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন, রেলের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ কর্মীরা]

বুধবার থেকে মোট ৬৯৬ টি ট্রেন চলবে শিয়ালদহ, হাওড়া ও দক্ষিণ-পূর্ব শাখায়। আর তা চালু হলে কীভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তাতে প্রশাসনের কী ভূমিকা হবে, তার রূপরেখা ঠিক করতে আজ বিকেলে নবান্নে বৈঠকে বসছেন ১০ জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনাররা। স্টেশনে যাত্রীদের প্রবেশ, ভিড় ট্রেনে ওঠার চেষ্টা – এসব নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, নিরাপত্তার বিষয়টি রাজ্যের উপরেই ছেড়েছে রেল। কীভাবে পুলিশ সেই কাজ করবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে আজকের বৈঠকে।

[আরও পড়ুন: টার্গেট ২০০ আসন, একুশের ব্লু-প্রিন্ট সাজাতে অমিত শাহর সফরের পরই দিল্লিতে মুকুল, দিলীপ]

এদিকে, দুর্গাপুজো, কালীপুজোর মণ্ডপে ‘নো-এন্ট্রি’ জোন ঘোষণার জন্য কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করা হাওড়ার বাসিন্দা অজয় কুমার দে আজ ফের একটি মামলা দায়ের করতে চলেছেন। লোকাল ট্রেনের ভিড় নিয়ন্ত্রণের আবেদনে মামলা দায়ের হতে পারে বলে খবর। তাঁর আবেদন, রেলপথের সঙ্গে যুক্ত শহরতলির যেসব জায়গা কালীপুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য বিখ্যাত, তার ১০ কিলোমিটার আগে-পরে যেন ট্রেন দাঁড় করানো না হয়। যদি করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, তাহলে উৎসবের দিনগুলোয় ওইসব স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে আদালতকে কড়া নির্দেশ জারি করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। ইতিমধ্যে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement