সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার শিক্ষকের ভূমিকায় সিভিক ভলান্টিয়াররা (Civic Vounteer)। যোগ্য সিভিকরা কচিকাঁচাদের পড়াবেন। বাঁকুড়া জেলা পুলিশের ‘অঙ্কুর’ প্রকল্পে সিভিক ভলান্টিয়ারদের পড়ানোর কাজে লাগানো নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। কটাক্ষ শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। ফলে এনিয়ে যথেষ্ট সমালোচনার অবকাশ তৈরি হয়েছে। এসবের মাঝে বিভ্রান্তি কাটাতে ‘অঙ্কুর’ প্রকল্প নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি সাফ বুঝিয়ে দিলেন, কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারকে শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটা পুলিশের কমিউনিটি প্রোগ্রাম (Communicty Programme)। যাঁরা যোগ্য, তাঁরা অবসর সময়ে প্রান্তিক এলাকার ছোটদের পড়াবেন। এটা তাঁদের কাজের মধ্যেই পড়ে।
বিতর্কের সূত্রপাত বাঁকুড়া (Bankura)জেলা পুলিশের একটি প্রকল্প নিয়ে। সেখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে একটি সমীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায়, প্রায় ৮০০টি স্কুলে পড়ুয়া তিরিশেরও কম। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার হাল ফেরাতে ‘অঙ্কুর’ প্রকল্প নিয়েছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। জঙ্গলমহল এলাকার পাঁচটি থানা এলাকার প্রতিটি অঞ্চলে একটি করে প্রাথমিক স্কুল এবং জেলার অন্যান্য থানা এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলিকে ‘অঙ্কুর’ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এই প্রকল্প অনুযায়ী, দু’জন করে সিভিক ভলান্টিয়ার স্কুলের নির্দিষ্ট সময়ের পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পড়াবেন। অর্থাৎ সিভিক ভলান্টিয়াররাই হয়ে উঠবেন পড়ুয়াদের ইংরাজি কিংবা অঙ্কের শিক্ষক (Teacher)।
কেন সিভিক ভলান্টিয়াররা পড়াবেন? এই প্রশ্ন তুলে শোরগোল শুরু হয় নানা মহলে। প্রশ্নের মুখে পড়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, আপাতত প্রকল্পটি স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া উচিত ছিল। তাঁর এই মন্তব্য নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়। বিভ্রান্তি মেটাতে বৃহস্পতিবার বিকেলে আসরে নামেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
তিনি সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট বলেন, ”এটা না জেনে অপব্যাখ্যা হচ্ছে। বিকৃত প্রচার চলছে। পুলিশের কমিউনিটি সার্ভিসের একটা অংশ এই অঙ্কুর প্রকল্প। সিভিক ভলান্টিয়াররা তো স্কুলে ক্লাস নিতে যাচ্ছেন না। তাঁরা ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস করছেন। কোথাও তাঁরা বয়স্কদের সাহায্য করবেন, কোথাও প্রান্তিক এলাকার ছেলেমেয়েদের স্কুলের বাইরে পড়াবেন। এর সঙ্গে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কোনও সম্পর্ক নেই। খোঁজ নিয়ে দেখুন, সিভিক ভলান্টিয়াররা আগেও এমন অনেক ভাল কাজ করেছেন। কাজেই সবটা না জেনে সমালোচনা করার মানে নেই। এটা অযথা বিতর্ক তৈরি করা ছাড়া কিছুই নয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.