ফাইল ছবি
ক্ষিরোদ ভট্টাচার্য: অনশনের নবম দিনও কাটল না কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জট। শুক্রবার মেডিক্যাল পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল কলেজ কর্তৃপক্ষের। সেই মতো আলোচনা শুরুও হয়। কিন্তু মাঝপথেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান অধ্যাপকরা।
জানা গিয়েছে, এদিন বৈঠকের মাঝেই ছাত্রদের তরফে অধ্যাপকে রীতিমতো আক্রমণের সুরে বলা হয়, “আপনাদের চেয়ারের যোগত্যাই নেই। আপনারা একটা করে দিন স্থির করেন আর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেই দিনটা বাতিল করে দেয়। শুধু তাদের দিকেই তাকিয়ে থাকেন আপনারা।” ছাত্রদের মুখ থেকে এমন বক্তব্য শুনেই ফ্য়াকাল্টি অধ্যাপক-সহ বৈঠকে উপস্থিত ব্যক্তিরা বেরিয়ে আসেন। কাউন্সিল আর পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়নি। আলোচনা অর্থহীন বলে জানান উপাধ্যক্ষ ডা. অঞ্জন অধিকারী। তিনি ও প্রিন্সিপাল অঞ্জন অধিকারী গোটা বিষয়টি জানাতে চলে যান স্বাস্থ্যভবনকে। ফলে সমস্যা যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়ে গেল।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মেডিক্যালে (Calcutta Medical College) যখন ডাক্তারি পড়ুয়ারা অনশন করছেন ঠিক সেই সময় পাশেই ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এসেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। তবে মেডিক্যাল কলেজে এসে পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেননি তিনি। বরং সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে স্বাস্থ্যসচিব জানান, “এনিয়ে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলে নেব।” এই মন্তব্য করার পরই স্বাস্থ্যভবনে যান মেডিক্যালের প্রিন্সিপাল। ফলে আন্দোলনের অষ্টম দিনে দ্রুত সমস্যা সমাধানের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এদিনের ঘটনা আবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল।
ছাত্র সংসদের নির্বাচন ঘোষণা করতে হবে। এই দাবিতে অনশনে নেমেছেন মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। দাবি না মানলে আন্দোলন প্রত্যাহারের প্রশ্নই নেই বলে সাফ জানান আন্দোলনকারীরা। এমনকী গতকাল অনশনরত ছাত্রদের সমর্থনে অভিভাবকরাও প্রতীকী অনশনে শামিল হন। কিন্তু এদিনও কোনও সমাধানসূত্র বেরল না। উলটে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও এক পড়ুয়া। ডাক্তারি ছাত্রদের বিক্ষোভের জেরে মেডিক্যালে চিকিৎসা ব্যবস্থা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.