রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ছেড়ে জেলায় জেলায় ঘুরতে হবে। দলের জন্য স্বার্থত্যাগ করতে হবে। দলের যুব নেতাদেরও উদ্দেশে এমনই বার্তা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার কলকাতায় দলের যুব সংগঠন যুবমোর্চার রাজ্য কার্যকারিণী বৈঠকে সমাপ্তি ভাষণ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার আগে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যুব নেতাদের রথযাত্রা কর্মসূচিতে সঠিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন।
সূত্রের খবর, মেনন যুব নেতাদের সতর্ক করে বলেছেন, যাঁরা রথযাত্রা কর্মসূচিতে ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারবেন আগামী দিনে দলে তাঁদের উন্নতি হবে। কে কোন নেতার লোক এসব ভুলে যেতে হবে। এদিন বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ছিলেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ সরকার, কেন্দ্রীয় সম্পাদক সৌরভ শিকদারও। জানুয়ারির পর পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে বলে এদিন ফের জল্পনা উসকে দেন দিলীপবাবু। বলেন, “এখন যারা সন্দেহের চোখে তাকাচ্ছে, প্রশ্ন করছে। তারা তখন জবাব পাবে। গাড়িটা যদি একবার ঘোরাতে পারি তাহলে সঠিক দিশাতে গাড়ি এমনিতেই চলবে।” যুব মোর্চার বৈঠকেই দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে এদিন কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন অধীর চৌধুরি ঘনিষ্ঠ নেতা অনুপম ঘোষ। প্রদেশ সভাপতি থাকাকালীন অনুপমকে রাজ্য কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের দায়িত্ব দিয়েছিলেন অধীর। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকেও পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন অনুপম।
[‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলকে ভাগাবই’, হুঁশিয়ারি সিদ্ধার্থনাথের]
এদিকে, রবিবার হুগলির আরামবাগে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে পড়েন দিলীপ ঘোষ। একদল তাঁকে কালো পতাকা দেখায়। বিক্ষোভের প্রসঙ্গটি তুলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘কালো পতাকা দেখিয়েছে তৃণমূল। আমরাও ওদের স্বাগত করার জন্য লাঠি কেটে রেখেছিলাম। তা দেখেই পালিয়েছে।’’ ১২ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত যুব দিবস পালন করবে যুব মোর্চা। বিধানসভাভিত্তিক বাইক মিছিল করা হবে বলে এদিন বৈঠক থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। যুব মোর্চার রাজ্য পদাধিকারীতে কিছু সাংগঠনিক রদবদলও করা হয়েছে। এদিকে, শনিবার রাতে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রকুমার বসুর একটি টুইট ঘিরে ফের আলোড়ন দলের অন্দরে। দলের রাজ্য মিডিয়া সেলের এক পদাধিকারীর বিরুদ্ধে তিনি টুইট করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.