Advertisement
Advertisement

Breaking News

RG Kar Medical College & Hospital

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ, ‘ঘরোয়া কোন্দল’ ভুলে স্বাস্থ্যভবন অভিযানে দিলীপ-সুকান্ত-শুভেন্দুরা

পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় বাকবিতণ্ডার পরেও স্বাস্থ্যভবন অভিযানে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।

Dilip Ghosh, Sukanta Majumder, Suvendu Adhikari joined RG Kar Medical College & Hospital protest together
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 22, 2024 4:18 pm
  • Updated:August 22, 2024 5:59 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশের পরই নড়েচড়ে বসল বঙ্গ বিজেপি। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়াল গেরুয়া শিবির। ‘ঘরোয়া কোন্দল’ ভুলে বৃহস্পতিবার পথে সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপরা। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় বাকবিতণ্ডার পরেও স্বাস্থ্যভবন অভিযানে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। ব্যারিকেড ভেঙে স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে রওনা নেতা-কর্মীরা।

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার হাডকো মোড় থেকে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি। মিছিলের একেবারে প্রথম সারিতে ছিল বঙ্গ বিজেপির মহিলা ব্রিগেড। ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল, দেবশ্রী চৌধুরী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো-সহ বঙ্গ বিজেপি নেতারা। স্বাস্থ্যভবন অভিযানকে রুখতে সল্টলেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করে বিধাননগর কমিশনারেট। জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে পুলিশি নিরাপত্তা এড়িয়ে স্বাস্থ্যভবন অভিযানে এককাট্টা বঙ্গ বিজেপি। ৪ কিমি দূরে ইন্দিরা ভবনের পাশে প্রথম ব্যারিকেড ভাঙে বিজেপি। দফায় দফায় মোট চারটি ব্যারিকেড ভাঙা হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শিয়ালদহ আদালতে গোপন জবানবন্দি সন্দীপ ঘোষের, হবে পলিগ্রাফ টেস্টও?]

শেষমেশ বিজেপি কর্মীদের করুণাময়ীতে আটকানো হয়। সেখানে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের একপ্রস্থ ধস্তাধস্তি হয়। আটক করা হয় শুভেন্দু অধিকারী এবং শমীক ভট্টাচার্যকে। প্রিজন ভ্যানে করে বিধাননগর পূর্ব থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। স্বাস্থ্যভবন থেকে ৫০০ মিটার দূরে রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের গাড়ির উপর দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখে দিলীপ-সুকান্তরা। শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত গেরুয়া শিবিরের।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তার পর থেকেই আন্দোলনে শামিল প্রায় সব মহল। পথে নামছে সাধারণ মানুষ, গণসংগঠন, বুদ্ধিজীবী সংগঠন। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যেও বিজেপির তুলনায় বামপন্থী সংগঠনগুলিকে বেশি সক্রিয় মনে হয়েছে। সরসরি নিজেদের ব্যানারে না হলেও বহু গণসংগঠনের ব্যানারে, বা অরাজনৈতিক আন্দোলনের আড়ালে পথে নামছেন বাম কর্মীরা। সে তুলনায় বঙ্গ বিজেপি ‘খাপছাড়া’। আন্দোলন যেটুকু হচ্ছে তাতে সংহতি এবং লোকবল- দুক্ষেত্রে অভাব ছিল। সূত্রের খবর, তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মনে করা হচ্ছে তার পরই আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ালেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা।

[আরও পড়ুন: কোভিডের সময় বিপুল টাকা নয়ছয়, বেআইনি টেন্ডার! পুলিশের নজরে সন্দীপ-সহ ৬ স্বাস্থ্যকর্তা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement