সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকীতে আরও একবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বর্ণপরিচয় বিতর্ক। বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারী বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo) এ প্রসঙ্গে পালটা জবাব দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজনীতির বর্ণপরিচয় পড়ার কথাও বলেন তিনি।
রবিবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণের সময় বাবুলকে খোঁচা দিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “যাঁরা বর্ণপরিচয় পড়েননি, তাঁরা পড়ুন। আমরা মেদিনীপুরের লোক। বিদ্যাসাগরও মেদিনীপুরের। বিদ্যাসাগর থেকে বর্ণপরিচয় আমরা কেন সারা দেশ পড়েছে। যাঁরা রাজনীতির বর্ণপরিচয় পড়লেন না, তাঁদের থেকে কী শুনব?”
২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। অতি অল্প সময়েই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অত্যন্ত ভরসার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। এদিকে ২০১৫ সালে সংঘ পরিবার থেকে রাজনীতিতে আসেন দিলীপ ঘোষ। দু’জনই সাংসদ। দীর্ঘদিন দু’জনই বিজেপির হয়ে লড়াই চালিয়েছেন। কিন্তু কোনওদিনই তাঁদের মধ্যে সখ্যতা ছিল না। হাতে গুণে কয়েকবার তাঁদের সহমত হতে দেখা গিয়েছে কোনও ইস্যুতে। তবে মতের অমিলের নজির রয়েছে ভূরি ভূরি!
বরাবরই বেফাঁস মন্তব্য করে থাকেন দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। যার জেরে রাজ্য বিজেপির সভাপতিকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন বাবুল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের সময় দিলীপ-বাবুলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। কারণ, বাবুল টুইটে (Tweet) লিখেছিলেন, তাঁকে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি মোটেও ভালভাবে নেননি দিলীপ ঘোষ। বাবুলকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‘যদি বরখাস্ত করা হত, তা হলে কি ভাল হত?” পালটা দিতে ছাড়েননি বাবুলও। তিনি ব্যঙ্গের ছলে ফেসবুকে লিখেছিলেন, “রাজ্য সভাপতি মনের আনন্দে অনেক কিছুই বলেন। উনি সবার শ্রদ্ধার পাত্র!”
সেই সময় বিজেপি রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। বর্তমানে যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। তার আগেই আচমকাই ফুলবদল করেন বাবুল। দলে যোগদানের পর সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষকে বর্ণপরিচয় উপহার দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন বাবুল। রবিবারই তারই পালটা জবাব দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.