রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রবিবারই টুইট করে রাজ্যসভা নির্বাচনে তৃণমূলের চার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার তৃণমূলের প্রার্থীদের কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি এদিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাঁদের মানুষ লোকসভা ভোটে রিজেক্ট করেছে, সেই হেরোদের প্রার্থী করে প্রজেক্ট করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থীরা হলেন দলের সাধারণ সম্পাদক দীনেশ ত্রিবেদী, সুব্রত বক্সি, মৌসম বেনজির নুর এবং অর্পিতা ঘোষ। সূত্রের খবর ছিল, দীনেশ ত্রিবেদী এবং মৌসমকে প্রার্থী করা হতে পারে। সেই জল্পনাতেই রবিবার সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের বর্ষিয়ান নেতা সুব্রত বক্সি ছাড়া বাকি তিনজনই লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। মৌসম নুর তো কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। দীনেশ ত্রিবেদী বারাকপুরের দুবারের সাংসদ এবং অর্পিতা ঘোষ বালুরঘাটের একবারের সাংসদ ছিলেন।
বস্তুত, লোকসভায় তিনজনই বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। যা রীতিমতো ধাক্কা দিয়েছিল মমতাকে। তাই বলা বাহুল্য, দীনেশ এবং মৌসমকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর ছিলই। সুব্রত বক্সি দক্ষিণ কলকাতার প্রাক্তন সাংসদ ছিলেন। গত লোকসভায় ওই আসনে দল মালা রায়কে প্রার্থী করে। সাংগঠনিক দায়িত্বে আনা হয় সুব্রতকে। তার জেরেই এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে দিলীপের বক্তব্য, সাধারণ মানুষ যাঁদের লোকসভা ভোটে প্রত্যাখ্যান করেছেন তাঁদেরকেই আবার রাজ্যসভায় তুলে ধরছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, জেএনইউ ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘জেএনইউ ও যাদবপুরের ছাত্র-ছাত্রীরা ড্রাগ আসক্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কমিউনিস্টরা ওদের বিপথে চালিত করছে।’ শাহিনবাগ-পার্ক সার্কাস নিয়েও এদিন ফের বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘বিরিয়ানি শেষ হয়ে যাচ্ছে তাই ধরনা উঠে যাচ্ছে। জোর করে পয়সা দিয়ে আন্দোলনে কাউকে বসিয়ে রাখা যায় না।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.