রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লাগাতার খারাপ ফলাফলের পর বঙ্গ বিজেপির চিন্তন বৈঠকে দলকে আত্মসমালোচনার কথা বলেছিলেন হুগলির সাংসদ তথা সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। এবার তাঁকে পালটা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। লকেটকে বিঁধে দিলীপের পালটা আক্রমণ, ”ভোটের ময়দানে থাকলেই বোঝা যায় সন্ত্রাস কতটা হচ্ছে। যাঁরা ময়দানে থাকেন না, তাঁরা কীভাবেই বা বুঝবেন কোথায়, কতটা সন্ত্রাস হচ্ছে? আর তাঁরা এসব কথা বললে কীভাবে হবে?” রবিবার প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই বক্তব্য তাঁর।
রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ভোটে একেবারেই হতশ্রী দশা বিজেপির। তারপরই ফলাফল বিশ্লেষণে চিন্তন বৈঠকে বসেছিল বঙ্গ বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। ছিলেন সর্বভারতীয় মুখপাত্র অমিত মালব্য, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষও। সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং-সহ একাধিক শীর্ষ নেতা এই বৈঠকে হাজির থাকলেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে গরহাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
বৈঠকের শুরুতে লকেটকে দর্শকাসনে বসে থাকতে দেখা গেলেও পরে তিনি মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখেন। আর সেখানেই দলের প্রতি বার্তা দিয়ে বলেন, “যেভাবে কমিটি তৈরি হয়েছে, তাতে যোগ্যতা নয় গুরুত্ব পেয়েছে কোটা। পুরনোদের একেবারে সরিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। সাংসদ, বিধায়কদের সংগঠন থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।” ভোটে হারলেই বারবার ‘শাসক দলের সন্ত্রাস’-এর অভিযোগকে ঢাল করছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু লকেটের দাবি, “শুধু সন্ত্রাস-সন্ত্রাস বললেই হবে না। নিজেদের দুর্বলতাটা স্বীকার করতে হবে।”
লকেট যে দলকে এমন পরামর্শ দিতে পারেন, সেই আন্দাজ ছিল খানিকটা। রবিবার তাঁকেই পালটা দিতে গিয়ে ভোট ময়দানের লড়াই নিয়ে খোঁচা দিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সাফ কথা, “ভোটের ময়দানে থাকলেই বোঝা যায় সন্ত্রাস কতটা হচ্ছে। যাঁরা ময়দানে থাকেন না, তাঁরা কীভাবেই বা বুঝবেন কোথায়, কতটা সন্ত্রাস হচ্ছে?” প্রসঙ্গত, বাংলার ভোটে গত কয়েক মাসে লকেটকে দেখা যায়নি নির্বাচনের ময়দানে। উত্তরাখণ্ডে ভোটের আগে লকেট সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন। সেই কারণেই বাংলা থেকে তিনি দূরে কি না, তা নিয়েও গুঞ্জন উঠেছে। সেসব কথা চাপা রেখেই অবশ্য় দিলীপ তাঁর উদ্দেশে শ্লেষাত্মক মন্তব্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.