রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নেতৃত্বে তৃণমূলের সংযোগ যাত্রাকে তুমুল কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। জনসংযোগ কর্মসূচির জন্য় গ্রামে গ্রামে ঘুরবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর এই গ্রাম যাত্রা কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির খোঁচা, “৪০ বছর বয়সে যুবরাজ জীবনে প্রথমবার গ্রামে যাবেন। অথচ উনি গ্রামেরই প্রতিনিধি। রাহুল গান্ধী ৫০ বছরে প্রথমবার গিয়েছেন আর যুবরাজ একটু আগে শুরু করছেন।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের জনসংযোগে জোর তৃণমূলের (TMC)। ‘দুয়ারে সরকার’,‘দিদির দূতে’র পর এবার শুরু হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের নয়া অভিযান ‘সংযোগ যাত্রা’। নেতৃত্বে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কর্মসূচিকেই কটাক্ষ করেছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, দুয়ারে সরকারে কর্মচারী নেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আর দেওয়ার মতো টাকা নেই। দিদির দূত সব ভগ্নদূত হয়ে গিয়েছে। লোকে গাছে বেঁধে আটকে রাখছে গ্রামে গ্রামে। এই কর্মসূচির ফলাফল কী? চেষ্টা করছে মানুষকে ভুলিয়ে ভালিয়ে রাখতে।”
শুধু অভিষেক বা তৃণমূলের কর্মসূচি নয়, দিলীপ ঘোষ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও কটাক্ষ করেছেন। বুধবার তৃণমূল সভানেত্রী দাবি করেছিলেন, ২০২৪ এ মাত্র ২০০ আসনেই শেষ হবে বিজেপি। পালটা দিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির কটাক্ষ, কার শাপে যেন গরু মরে না? ২০১৯-এও বলেছিলেন বিজেপি ফুস। ওঁরা না কি ৪২এ ৪২ পাবে। পরিণাম কী হল? ওঁর এক ডজন সিট কমে গেল। যাদের উনি কলকাতায় সভা করতে নিয়ে এসেছিলেন, তাঁদের অনেকেই পার্লামেন্ট পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি।” দিলীপের আরও সংযোজন, “সবাই জেনে গিয়েছে ব্যাপারটা। তাই মমতাকে আর কেউ ডাকে না। কারণ ওঁর দৃষ্টি পড়লেই সর্বনাশ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.