রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যে আরও এক আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর আলোচনা। রাজ্য প্রশাসনকে দুষলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাকে পালটা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
সোমবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “মথুরাপুর এমন জঙ্গির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যে দিনের পর দিন অনেকের ব্রেন ওয়াশ করেছে। বাংলাদেশ থেকে ঢুকে এখানে থাকছে। এখান থেকে জাল বিস্তার করছে। হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহে জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে। পুলিশ জানে তাই হাত দেবে না। কারণ এর সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত আছে। সরকার জানে ভোটের ব্যাপার আছে। সে কারণে ভারতের সমস্ত জঙ্গি মডিউল চলে এসেছে এখানে। ডায়মন্ড হারবার থেকে জঙ্গি গিয়ে অন্য রাজ্যে অপারেশন করছে। বড় বড় শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। তার নেপথ্য রহস্য উদঘাটন হয় না। পশ্চিমবঙ্গ বারুদের স্তূপের উপর বসে আছে। আর এই সংখ্যাগুলি অস্ত্রশস্ত্রগুলোকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে ধীরে ধীরে। সেই জন্য রাজনীতিও রক্তরঞ্জিত হয়ে যাচ্ছে।”
পালটা দিলীপ ঘোষকে জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষ আল কায়দা নিয়ে বলেছে শুনলাম। দয়া করে জানুন, আপনি বয়সে বড়, রাজনীতিতে ছোট। ১৯৯০ সাল থেকেই আল কায়দা ধরা পড়ে৷ আর অভিযোগ বাংলাদেশ পেরিয়ে আসে। সীমান্ত দেখে বিএসএফ। আপনাদের কেন্দ্রের বাহিনী৷ কেন্দ্রের রিপোর্ট ১৪টি রাজ্যে আছে। তার মধ্যে অনেকগুলি বিজেপিশাসিত রাজ্য।”
উল্লেখ্য, আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের বাসিন্দা মনউদ্দিন খান ওরফে মনিরুদ্দিন নামে মেধাবী কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। এসটিএফের দাবি, ভারতীয় আল কায়দার জঙ্গি সন্দেহে ধৃত পেশায় শিক্ষক আজিজুল হককে জেরা করেই উঠে আসে মনউদ্দিনের নাম। অভিযোগ, জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের হাতে ওই ছাত্র তুলে দিয়েছিল নিজের পরিচয়পত্র ও নথি। ওই পরিচয়পত্রের সাহায্যে জঙ্গিদের সিমকার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় আল কায়দার প্রচার ও স্লিপার সেল তৈরিতে ওই ছাত্র জঙ্গি নেতাদের সাহায্য করত বলে অভিযোগ এসটিএফের।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.