সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্গ বিজেপিতে লবিবাজি বা গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বিধানসভা ভোটের আগে পর্যন্ত মুকুল বনাম দিলীপ (Dilip Ghosh) গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব ছিল সুবিদিত। এখন মুকুল রায় নেই। তিনি তৃণমূলে ফিরেছেন। তাঁর অনুগামীরাও রাস্তা মাপছেন। কিন্তু তাতেও স্বস্তি নেই দিলীপ ঘোষের। বঙ্গ বিজেপির অন্দরে যেন নতুন করে দিলীপ বিরোধী একটা লবি তৈরি হচ্ছে। অন্তত দিলীপের ঘনিষ্ঠ মহলের এমনটাই ধারণা।
বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Elections) পর দলের অনেক কাণ্ডকারখানার কথাই দিলীপবাবু হয় জানতে পারছেন না, নাহয় অনেক পরে সব ঠিক হয়ে যাওয়ার পর জানছেন। এই তো দিনকয়েক আগেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) যখন দিল্লি গেলেন, তখনও দিলীপবাবু দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতার সেই সফরের কথা তিনি জানতেনই না। যদিও দিল্লিতে দাঁড়িয়েই বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন, তিনি রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে জানিয়েই দিল্লি এসেছেন। কিন্তু শুভেন্দুর পাশাপাশি সেদিন দিল্লি গিয়েছিলেন আরও ৩ সাংসদ। তাঁদের দিল্লি যাত্রার কথা নাকি রাজ্য নেতাদের কেউই জানতেন না। আবার দিন দুই আগে বিধায়কদের নিয়ে শুভেন্দু যে ‘রাজভবন অভিযান’ করলেন, সেটা সম্পর্কেও নাকি তেমন তথ্য শুরুর দিকে ছিল না দিলীপের কাছে। এবারেও নাকি অমিতাভ চক্রবর্তীকে বলেই কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন শুভেন্দু। দিলীপ জানতে পারেন একেবারে শেষ মুহূর্তে। যদিও দিলীপ ঘোষ পরে নিজে বলেছেন, যে বিধায়করা নিজেদের মতো কর্মসূচি নিতেই পারেন। সেক্ষেত্রে আমাকে বলতেই হবে তার কোনও মানে নেই। তবে, রাজভবনে তাঁরা আমাকে জানিয়েই গিয়েছিলেন।
প্রশ্ন উঠছে, বারবার এভাবে রাজ্য সভাপতিকে অন্ধকারে রেখে দলের কর্মসূচি কেন গ্রহণ করা হচ্ছে? দিলীপ শিবিরের অন্দরে প্রশ্ন শুভেন্দু অধিকারী কি দিলীপবাবুকে আগের মতো গুরুত্ব দিচ্ছেন না? যদিও, দলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শুভেন্দু বলে এসেছেন, তিনি আর দিলীপ একসঙ্গে মিলে মমতাকে হারাবেন। কিন্তু ভোটের পর দেখা যাচ্ছে অনেকক্ষেত্রেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ‘একলা চলো’ নীতি নিচ্ছেন। সেটাই নাকি ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতির। যদিও, প্রকাশ্যে এ নিয়ে কেউই কিছু বলছেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.