রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বদলাও হবে, বদলও হবে। ‘বদলা’ বার্তার রং আবার লাল। ‘বদল’ বার্তার রং সাদা। ফেসবুকে এই পোস্ট দিয়ে ফের বিতর্কে জড়ালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সরাসরি প্রতিশোধের বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, যারা হিংসা করছে, বিজেপি কর্মীদের মারছে, তাদের বদলা নেবেন। সমাজবিরোধীরা যে ভাষায় কথা বলেন, সেই ভাষায় জবাব দেবেন। এহেন পোস্ট এবং মন্তব্য ঘিরে যথারীতি সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকের মতে, এসব বলে এখনই জোরকদমে ভোটপ্রচারে নামতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
বদলা নয়, বদল চাই – এই স্লোগান তুলে ২০১১এ বাংলায় রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিবর্তনের কাণ্ডারী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস, বদলও হয়েছিল। পরিবর্তনের পর সে অর্থে বদলার রাজনীতিতে নামতে দেখা যায়নি শাসকদলকে। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যের অন্যতম বিরোধী শক্তি এখন থেকেই বদলার ডাক দিচ্ছে। দিলীপ ঘোষের পোস্টই তার প্রমাণ।
তৃণমূলের হাতে বিজেপি কর্মীরা খুন হচ্ছে বাংলায়, বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে বিজেপি কর্মী খুনের পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপির। বাংলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে শতাধিক বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন, গত ৯ জুন ভারচুয়াল সভায় অমিত শাহও একথা বলেছিলেন। একের পর এক বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই দিলীপ ঘোষের এই হুঁশিয়ারি বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ, মারের বদলা পালটা মারের রাজনীতিতেই আস্থা বিজেপির। এহেন পোস্ট নিয়ে বিতর্কের ঝড় যতই উঠুক, বিজেপি রাজ্য সভাপতি কিন্তু তাতে আমল দিতে নারাজ। আরও সুর চড়িয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় তো আসবেই, প্রতিশোধও নেবে।
দিলীপ ঘোষ মানেই কোনও না কোনও বিতর্কের জন্মদাতা। আগেও নানা বেফাঁস কথা বলেই বসেন তিনি। এও তেমনই এক। তবে তাঁর বদলার হুঁশিয়ারি যে নিছকই একটা বিতর্ক নয়, তা মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.