সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। ভরাডুবির পরে সরকার ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাঁকে সমর্থন করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে ‘সরকার ফেলে দেওয়া’র হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে বিজেপির অন্দরেই মতভেদ। শান্তনু, সুকান্তের সঙ্গে একমত হলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শনিবার রাতে দলীয় এক অনুষ্ঠানে শান্তনু ঠাকুর আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে সরকার পড়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। রবিবার তাঁকে সমর্থন করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বলেন, ‘‘সরকার পাঁচ মাস-ছ’মাস যখন খুশি পড়ে যেতে পারে। অসুবিধার তো কিছু নেই। সরকার কী ভাবে চলে? বিধায়কদের সমর্থনে। বিধায়কেরা হঠাৎ মনে করল, আমরা সমর্থন করব না। আমরা অন্য কাউকে সমর্থন করব। বিধায়কদের তো মনে হতেই পারে। না হওয়ার তো কিছু নেই। আবার ধরুন, এমন গণআন্দোলন শুরু হল যে বিধায়কেরা বলল আমরা আজ থেকে আর বিধায়ক পদে থাকব না।’’ সত্যি কী তেমন সম্ভাবনা রয়েছে? সে প্রশ্নেরও ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব দেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, “সব সম্ভাবনাই আছে। রাজনীতিতে কোনও সম্ভাবনা অস্বীকার করা যায় না।”
তবে শান্তনু ও সুকান্তের সঙ্গে তিনি যে একমত নন, তা হাবেভাবে বুঝিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ। পরিবর্তে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, “এই যা পরিস্থিতি, তাতে অনেকে অনেক হিসেব করে অনেক কথা বলছেন।” পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল নিয়ে রবিবারই বঙ্গ বিজেপি নেতারা পর্যালোচনা বৈঠক করেন। তাতে দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদার বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এর আগেও একাধিকবার বঙ্গ বিজেপির মধ্যে ফাটল লক্ষ্য করা যায়। ‘সরকার ফেলে দেওয়া’র হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে শান্তনু, সুকান্তর সঙ্গে দিলীপের মতানৈক্যে স্পষ্ট বঙ্গ বিজেপির অন্তর্কলহ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.