সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর অনুরোধেই দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বিস্ফোরক দাবি তুললেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে। দিলীপ ঘোষ বলেন, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁর। তখনই মহুয়া নাকি তাঁকে দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ করেন। এরপরই গত বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষের সল্টলেকের বাড়িতে গিয়ে রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক দেখা করেন। কিন্তু দেবশ্রী রায়ের দলে যোগদান সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দেবশ্রী রায়ের কিছু শর্ত রয়েছে দলে যোগদান নিয়ে। সেগুলি দলের সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করব তাঁকে বিজেপিতে নেওয়া হবে কিনা।’
বেশ কয়েকদিন ধরে দেবশ্রী রায়ের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এর আগে নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগদানের দিন সেখানে উপস্থিত হন দেবশ্রী রায়। তাঁকে নিয়ে একপ্রস্থ নাটক হয় বিজেপি দপ্তরে। দেবশ্রীকে দেখে বিজেপিতে যোগদানের বিষয়ে বেঁকে বসেন শোভন-বৈশাখী। সেযাত্রায় তাঁদের আপত্তির কারণে বিজেপিতে যোগ দেওয়া হয়নি দেবশ্রী রায়ের। কিন্তু পদ্মশিবিরে মাথা ঢোকানোর চেষ্টা জারি থাকে রায়দিঘির বিধায়কের। সম্প্রতি ব্যক্তিগতভাবে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর সল্টলেকের বাসভবনে পৌঁছে যান দেবশ্রী। কিন্তু সেদিন বাড়িতে ছিলেন না দিলীপ। এরপর গত বৃহস্পতিবার দুজনের সাক্ষাৎ হয় বলে সূত্রের খবর।
কিন্তু বুধবার বোমা ফাটালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দেবশ্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের পিছনে মহুয়া মৈত্র রয়েছে বলে দাবি তুললেন তিনি। বললেন, ‘মহুয়ার সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়। অন্য কথার ফাঁকে তিনি আমাকে তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, দেবশ্রী মনোকষ্টে আছেন। আমি যেন দেখা করি।’ এই মন্তব্যেই নতুন করে অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের অন্দরে। যদিও এ বিষয়ে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে দলের ভিতরে ও বাইরে তৈরি হওয়া অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতেই এহেন মন্তব্য করে তৃণমূলের কোর্টে বল ঠেলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.