Advertisement
Advertisement

Breaking News

Dilip Ghosh

Dilip Ghosh: ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে করোনা কম, বাড়ছে অবিজেপি রাজ্যে’, আজব দাবি দিলীপের

'বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীরা করোনাকে জব্দ করেছেন', দাবি দিলীপ ঘোষের।

Dilip Ghosh claims Coronavirus gearing up only in non BJP states
Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 8, 2022 9:16 pm
  • Updated:January 8, 2022 9:18 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিভিন্ন রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কম-বেশি হলেও সারা দেশজুড়েই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। আর এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে করোনার প্রভাব নিয়েও বিজেপি শাসিত ও অবিজেপি শাসিত রাজ্যকে ভাগ করে বসলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শনিবার দলের রাজ্য দপ্তরে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির মন্তব্য, বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যে করোনার প্রভাব নেই। বিরোধীরা বুঝে গিয়েছে বিজেপির সঙ্গে হারবে। তাই ভোট ‘হেল্ড আপ’ করার জন্য নিজেদের রাজ্যে করোনা বাড়াচ্ছে। দিলীপ বাবুর এহেন মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

এখানেই থেমে থাকেননি বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। এ প্রসঙ্গেই দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, যতগুলি রাজ্যে করোনা বাড়ছে সবকটা বিরোধী দল শাসিত রাজ্য। সেখানে করোনা নিয়ে হইচই হচ্ছে, স্বাভাবিক ভাবে হোক, চক্রান্ত করে হোক। বিজেপি শাসিত রাজ্যে এটা পারা যাচ্ছে না। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীরা করোনাকে জব্দ করেছেন। করোনার সংক্রমণকে আটকেছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ বাড়ছে। দিলীপবাবুর বক্তব্য, রাজনীতিকে করোনা প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে।

Advertisement

 

[আরও পড়ুন: এবার ১২ ঊর্ধ্বদের করোনার টিকা দিতে চায় কলকাতা পুরসভা, কেন্দ্রের অনুমতির অপেক্ষায় মেয়র]

দিলীপ ঘোষের এইধরণের মন্তব্যের জবাব দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের কটাক্ষ, “দিলীপবাবুর আবার করোনা হয়নি তো? অবিজেপি শাসিত রাজ্যে যারা আছেন তারা ওর কথার জবাব দেবেন। অবিজেপি শাসিত পঞ্জাবে ভোট। সেখানে ক্ষমতায় কংগ্রেস। তারা উত্তর দেবে। দিলীপবাবু পশ্চিমবঙ্গের কথা বলছেন। উনি নিজেকে সামলান আগে। এমন অবৈজ্ঞানিক আর উদ্ভট কথা যাদের মাথায় ঘোরাফেরা করে তারা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতো কথা না বললেই ভালো হয়।”

এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে পুরভোট কিভাবে সম্ভব, তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, পুরভোটের প্রচার করা যাচ্ছে না। প্রচারে বাড়িতে গেলে দরজা খুলছে না। অনেকে প্রচারে অংশ নিচ্ছে না। কাকে নিয়ে ভোট হবে। তৃণমূলকে ক্ষমতা পেতে হবে তাই এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ভোট করানো হচ্ছে। দিলীপবাবুর কথায়, পুরসভার ভোট তো তিন বছর বাকি পড়ে রয়েছে। আর একমাস পিছোলে কি অসুবিধা হত?

[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় গৃহবধূদের নিয়ে তৈরি ‘মহিলা গ্যাং’য়ের দৌরাত্ম্য, চলন্ত গাড়ি থেকে চলছে লুটপাট]

উল্লেখ্য, রাজ্য বিজেপির তরফে ইতিমধ্যেই পুরভোট একমাস পিছনোর দাবি করা হয়েছে। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, পরিস্থিতি অনুকূল নয়। জোর করে ভোট করানো হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের কথা থেকে স্পষ্ট কারও না কারও চাপে তারা এটা করছে। এদিকে, গঙ্গাসাগর মেলা প্রসঙ্গে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, “বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া উচিত বলেছিলাম। এক বছর মেলা বন্ধ থাকলে কিছু হত না। কিন্তু সংক্রমণ হলে সেটা ভয়ঙ্কর।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement