Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইসলামপুরে ঘাঁটি গেড়েছে জামাত-সিমি, বিস্ফোরক দিলীপ

বনধে সর্বাত্মক সাড়া দিয়েছেন সাধারণ মানুষ, দাবি গেরুয়া শিবিরের৷

Dilip Ghosh calles off Bandh two hours before scheduled time
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 26, 2018 4:50 pm
  • Updated:September 26, 2018 6:17 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর, চোপড়ায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে জামাত-সিমির লোকেরা৷ উর্দু ভাষাকে প্রাধান্য দিয়ে ওই এলাকাকে বাংলাদেশের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ পাশাপাশি বুধবারের বনধ সফল করতে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এগিয়ে এসেছেন বলেও দাবি করেন তিনি৷ আক্রমণ শানান পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকেও৷

[বেলা বাড়তেই পথে বিজেপি, বনধের বিরোধিতায় পালটা মিছিল তৃণমূলেরও]

Advertisement

বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, ”আমরা কাউকে আক্রমণ করিনি, দোকানপাট বন্ধের জন্য জোর করিনি৷ বরং তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা আমাদের উপরে হামলা করেছে৷ তাও মানুষ বনধকে সমর্থন করে এগিয়ে এসেছেন৷ বনধকে সর্বাত্মক করতে সাহায্য করেছেন৷” রাজ্য সরকারের দাবি বনধ ব্যর্থ৷ তাঁদের যুক্তি সরকারি অফিসে ৯৫ শতাংশ উপস্থিতি রয়েছে৷ বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে এই দাবি করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রী এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ৷ তিনি বলেন, ”বনধের আগের দিন থেকে সরকারি দপ্তরে কর্মীদের নিয়ে এসে পিকনিক করাচ্ছে রাজ্য সরকার৷ আবার বলছে বনধ ব্যর্থ৷” এরপরেই গুরুতর অভিযোগ করেন তিনি এবং আক্রমণ করেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে৷ বলেন, ”উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী৷ ওই জেলাতে পরপর মহিলাদের উপরে অত্যাচার হয়েছে৷ আদিবাসীদের উপরে অত্যাচার হয়েছে৷ দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে৷ সেখানে ঘাঁটি করেছে সিমি ও জামাতের লোকেরা৷ উর্দুকে প্রাধান্য দিয়ে ওই এলাকাকে বাংলাদেশের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে৷”

[সিমকার্ড হ্যাক করে লক্ষাধিক টাকা লুট শহরে]

বুধবার ১২ ঘন্টার বনধের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে শহরে৷ জোড়াবাগান, ধর্মতলা, রাসবিহারী, ক্যানিং স্ট্রিটে পুলিশ ও বনধের সমর্থনকারীদের খণ্ডযুদ্ধ দেখা গেলেও, বনধের তেমন একটা প্রভাব পড়েনি শহরের জনজীবনে৷ অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তায় ভিড় কম থাকলেও, খোলা ছিল সরকারি অফিস, স্কুল-কলেজ৷ যদিও জেলাতে কিছুটা প্রভাব পড়েছে বনধের৷ বিশেষ করে প্রবল বাধার মুখে পড়েছে রেল চলাচল৷ একাধিক স্থানে ট্রেন অবরোধ করেছেন বনধদের সমর্থনকারীরা৷ ইসলামপুরের দাড়িভিট হাই স্কুলের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই বনধের ডাক দেয় বিজেপি৷ ফলে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল ইসলামপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা৷ সেখানে তির-ধনুক নিয়ে রাস্তায় নামে সাধারণ মানুষ৷ পুলিশের সঙ্গে তাদের খণ্ডযুদ্ধ বাধে৷ সমগ্র দিনজুড়েই উত্তপ্ত থাকে ওই এলাকা৷ তবে মেয়াদ শেষের দু’ঘন্টা আগেই বনধ তোলার কথা ঘোষণা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement