সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোতত্ত্বের পর ফের মুখ খুলে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘বাংলার সরকারি স্কুলে পড়ে জয়েন্ট দেওয়া যায় নাকি?’ আর বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যকে নিয়ে চলছে জোর সমালোচনা। কীভাবে একজন বাংলার নেতা ভাষা নিয়ে একথা বলতে পারেন সে প্রশ্নও মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।
সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ইংরাজি ও হিন্দি ভাষায় প্রশ্নপত্র তৈরি হত। পরীক্ষার্থীরাও এই দুটি ভাষাতেই উত্তর দিতে পারেন। তবে আঞ্চলিক ভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেয় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা NTA। তাই সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষা হিসাবে স্থান পেয়েছে শুধুমাত্র গুজরাটি। আঞ্চলিক ভাষাগুলির মধ্যে শুধু গুজরাটিকে কেন প্রাধান্য দেওয়া হল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। বিরোধিতার সুর চড়িয়ে বাম, কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীরাও।
সোমবারই পথে নেমে আন্দোলনে শামিল হয় তৃণমূল। মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ সভারও আয়োজন করা হয়। মঞ্চ থেকে বাংলার বিজেপি নেতাদের নাম করে জোরালো আক্রমণ শানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কেও ওই মঞ্চ থেকে কটাক্ষ করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও।
এই অনুষ্ঠান হওয়ার পরই জয়েন্ট এন্ট্রান্সের বিরোধিতা প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বাংলা থেকে ক’জন জয়েন্ট পরীক্ষা দেয়, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন? বাংলার সরকারি স্কুলে পড়ে জয়েন্ট দেওয়া যায় নাকি! গুজরাটে ৬০হাজার ছাত্রছাত্রী জয়েন্ট দেয়। এখানে কজন? যখন আবেদন করতে বলা হয়েছিল ভাষার জন্যে, তখন করেননি কেন? এখন বাংলা নিয়ে রাজনীতি করছেন!” আর এই মন্তব্যের জেরেই ফের বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বাংলা নেতা হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে বাংলা ভাষাকে এমন হেও করতে পারেন তিনি, সেই প্রশ্নও উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.