Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kolkata

বড়বাজারে তদন্তে গিয়ে বিপত্তি, পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে জখম ৩ পুলিশ কর্মী

এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

Dilapidated house collapses in Kolkata, 3 cops injured | Sangbad Pratidin

বড়বাজারে ভেঙে পড়ল বাড়ির একাংশ।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 10, 2022 4:42 pm
  • Updated:May 10, 2022 6:09 pm  

কৃষ্ণকুমার দাস: ফের পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে বিপত্তি কলকাতা (Kolkata)। গুরুতর জখম হলেন তিন পুলিশ কর্মী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রবীন্দ্র সরণীর বড়বাজার এলাকায়। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে এদিন বড়বাজার থানার তিন পুলিশ কর্মী ওই এলাকায় তদন্ত করতে গিয়েছিলেন। তদন্ত চলাকালীন পাশের বাড়ির দোতলার কার্নিশ ভেঙে পড়ে। গুরুতর জখম হন তিন পুলিশ কর্মীই। আহত হন বাড়ির নিচে থাকা পথচারীরা। তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযোগ, বহুদিন ধরেই বাড়িটির অবস্থা খারাপ ছিল। এদিন সেই বাড়িরই একাংশ ভেঙে পড়ে জখম হলেন বেশ কয়েকজন। কিন্তু কীভাবে বাড়ির একাংশ ভাঙল তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement

Kolkata House Collapse

[আরও পড়ুন: গলায় ফাঁস লেগেই কাশীপুরের বিজেপি নেতার মৃত্যু, হাই কোর্টে জমা পড়ল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট]

উল্লেখ্য, গতবারের ঝড়বৃষ্টিতে উত্তর কলকাতার একটি বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল কয়েকজনের। ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে শহরে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ঝড়বৃষ্টির শুরুতেই উত্তর কলকাতার বড়বাজারের মতো ব্যস্ত এলাকায় বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ায় আশঙ্কা ছড়িয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে একটানা বৃষ্টিতে (Rain) বিপত্তি বাঁধে।  ৯ নম্বর আহিরীটোলা লেনে ভেঙে পড়ে একটি দোতলা বাড়ি। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান এক শিশু-সহ চারজন। গত ১১ সেপ্টেম্বরে বৃষ্টির জেরে বড়বাজারের বাবুলাল লেনে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। তার আগে জুন মাসে শিয়ালদহের সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পাশে একটি তিন তলা বাড়ি ভেঙে পড়ে। জখমও হন একজন।

[আরও পড়ুন: একা চৌকাঠ পেরনোর অনুমতি নেই ৪৪ শতাংশ ভারতীয় মহিলার! কেন্দ্রের সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর দাবি]

কলকাতা পুরসভার খতিয়ান অনুযায়ী প্রায় ৩ হাজার বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। তবে আহিরীটোলা লেনের এই দোতলা বাড়িটি পুরনো হলেও সেই তালিকায় ছিল না। বাড়ির যথেষ্ট জীর্ণ দশা হওয়া সত্ত্বেও কেন বিপজ্জনক বাড়ির তালিকাভুক্ত ছিল না, সেই প্রশ্নই তুলছেন স্থানীয়রা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement