সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারদ মামলায় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ। অথচ, বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারা ব্রাত্য! ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্ররা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই সিবিআইয়ের দ্বিচারিতা নিয়ে সরব তৃণমূল। খোদ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতারাও প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari) এবং মুকুল রায়ের (Mukul Roy) মতো বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করছে না সিবিআই।নিজেদের পেশ করা চার্জশিটেই এই কটাক্ষের জবাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের দাবি, বিজেপির এই দুই নেতা-সহ তৃণমূলের সাংসদ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও কোনওরকম পদক্ষেপ করার অনুমতি তারা পায়নি।
সোমবার ১৭ মে, খানিকটা আচমকাই রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মন্ত্রী এবং মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যের বিধায়ক বা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি বা এই ধরনের কোনও আইনি পদক্ষেপ করার আগে তা বিধানসভার স্পিকার এবং সচিবালয়কে জানাতে হয়। শোভনবাবু এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভার সদস্য না হলেও, এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাকি তিনজনই বিধানসভার সদস্য। সুতরাং তাঁদের গ্রেপ্তার করতে হলে আগে থেকে জানাতে হত স্পিকার এবং বিধানসভার সচিবালয়কে। কিন্তু রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Biman Banerjee) দাবি এই গ্রেপ্তারি নিয়ে তাঁর বা সচিবালয়ের কারও কাছেই কোনও তথ্য ছিল না। যদিও সিবিআই চার্জশিটে জানিয়েছে, খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এই চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের অনুমতি দিয়েছেন তাঁদের। গ্রেপ্তারির পর স্পিকারকেও চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
তাহলে মুকুল-শুভেন্দুরা বাদ কেন? চার্জশিট পেশ করার সময় সিবিআই (CBI) আদালতকে জানিয়েছে, যে সময় নারদের এই ঘটনাটি ঘটে সেসময় মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং কাকলী ঘোষ দস্তিদারদের মতো অভিযুক্তরা সাংসদ ছিলেন। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় আইনসভার সদস্য ছিলেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের জন্য বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন। যা না মেলায় চার্জশিটে তাঁদের নাম রাখা যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.