সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হার মেনেছে সহযোদ্ধা। এখনও যমের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে পোলবার পুলকার দুর্ঘটনায় জখম দিব্যাংশু। তবে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে ক্রমশই। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে বছর ছয়েকের শিশু। এসএসকেএম সূত্রে খবর, ঠিক এক সপ্তাহ পর শুক্রবার রাতে মায়ের সঙ্গে কথা বলে দিব্যাংশু। ছেলের মুখ থেকে মা ডাক শুনে স্বস্তিতে জখম ছাত্রের মা।
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলকারে চড়ে স্কুলে যাচ্ছিল দিব্যাংশু। তার পুলকার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পোলবার কাছে দিল্লি রোডে তাদের গাড়ি পোস্টে ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে উলটে যায়। ফুসফুসে কাদাজল ঢুকে যায় শিশুর। তাকে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এসএসকেএমের ট্রমা সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয় দিব্যাংশুকে। গ্রিন করিডরের মাধ্যমে এক ঘণ্টারও কম সময় এসএসকেএমে পৌঁছয় সে। ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাকে। তবে ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় দিব্যাংশুর। বৃহস্পতিবার আংশিক ভেন্টিলেশন সরিয়ে দেওয়া হয় তার।
এসএসকেএম সূত্রে খবর, কৃত্রিম উপায় ছাড়া নিজেই শ্বাস নিতে পারছে দিব্যাংশু। আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাকে। শুক্রবার ওয়ার্ডে ঢুকে দিব্যাংশুর সঙ্গে দেখা করেন তার মা রিমা ভগত। ছেলের ডাকনাম ধরে ডাকেন তিনি। সাড়া দেয় দিব্যাংশু। ‘মা’ বলে ডাকেও সে। ছেলের শারীরিক উন্নতি হওয়ায় যথেষ্ট খুশি দিব্যাংশুর মা। তিনি বলেন, “ওয়ার্ডে ঢুকে ওর গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে দিই। একটু ডাকতেই ও আমার দিকে তাকায়। আমি বলি ‘মা’ বলে ডাকতে। ও আমার দিকে তাকায়। ‘মা’ বলে ডাকে।” ছেলের মুখ থেকে আবারও ‘মা’ ডাক শুনতে পেয়ে বেজায় খুশি জখম ছাত্রের মা।
তবে ছেলের বন্ধু ঋষভের মৃত্যুতে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি দিব্যাংশুর বাবা-মা দু’জনেই। শনিবার সকালে এসএসকেএমে ঋষভের বাবার সঙ্গে দেখা করেন দিব্যাংশুর বাবা। সন্তানহারা বাবাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনিও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.