গৌতম ব্রহ্ম: আগে বাসে চেপে গেলেও নাকে রুমাল চাপা দিতে হত৷ চোখ বন্ধ করেও বলে দেওয়া যেত স্টপেজের নাম ধাপা৷
এখন দুর্গন্ধ কমেছে৷ কিন্তু দাপট বেড়েছে দূষণের৷ ধাপায় জমে থাকা পাহাড়-প্রমাণ কঠিন বর্জ্য বিষিয়ে দিচ্ছে পরিবেশ৷ ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে শহরকে৷ সমস্যার সমাধানে অভিনব পদক্ষেপ নিল রাজ্যের ‘দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ’৷ ধাপাকে ঢেকে ফেলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করল৷
বিদেশে ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ড’ বা আস্তাকুঁড়কে ঢেকে দেওয়ার রেওয়াজ চালু রয়েছে৷ প্রযুক্তির পরিভাষায় একে বলে ‘ক্যাপিং’৷ পূর্ব ভারতে অবশ্য এমন উদ্যোগ এই প্রথম৷ টুপি পরছে ধাপা৷
সিন্থেটিক টার্ফে তৈরি হবে টুপি৷ কাজ শুরু হবে বর্ষার পরই৷ ‘ক্যাপিং’-এর কাজ শেষ হলে টুপির উপর ফেলা হবে মাটি৷ আর তার উপর ডানা মেলবে ‘বায়োডাইভার্সিটি পার্ক’৷ দূষণ ঠেকাতে এমনই অভিনব উদ্যোগ নিল রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ৷ প্রকল্পের আনুমানিক ব্যায় ৪৯ কোটি টাকা৷ পনেরো মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে৷ বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি রূপায়ণ করবে রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ৷
গুজরাতের একটি সংস্থাকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জনালেন, টুপি পরানোর পাশাপাশি ‘কঠিন বর্জ্য’ থেকে উৎপাদিত দূষিত জল শোধন করে খালে ফেলা হবে৷ এভাবেই শহরের আদি এবং বৃহত্তম আস্তাকুড়ের বর্জ্যকে টুপিবন্দি করা হবে৷ ধাপা কাগজকুড়ানিদের স্বর্গরাজ্য৷ মাটি থেকে ৭০ ফুট উঁচু৷ আয়তন প্রায় ৬০ একর৷ পাঁচশো লরি ও কম্প্যাক্টরে করে দৈনিক প্রায় ৪০০০ টন বর্জ্য ধাপায় আসে৷ এই বিপুল
পরিমাণ বর্জ্যের ভার আর বইতে পারছে না ধাপা৷ বিকল্প ভাগাড় তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে৷ পুরসভার জঞ্জাল বিভাগের মেয়র পরিষদ দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, ধাপার পাশেই একটা জায়গায় ময়লা ফেলা হচ্ছে৷ বিকল্প জায়গার সন্ধান চলছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.