ফাইল ছবি
নব্যেন্দু হাজরা: স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট রুটে আধ ঘণ্টা অন্তর ছুটল বাস। কিন্তু চোখের সামনে দিয়ে বাস গেলেও তাতে উঠতে পারলেন না বহু যাত্রী। গিরিশ পার্ক থেকে ধর্মতলা, ডানলপ থেকে গড়িয়াহাট। সোমবার সকাল থেকে মহানগরের চিত্রটা ছিল অনেকটা একই। লকডাউন চলাকালীন অন্যদিনের তুলনায় এদিন রাস্তায় ভিড় ছিল ভালই। বিভিন্ন ডিপোর সামনে তো বটেই, বাস ধরার জন্য মাঝরাস্তায় যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে দীর্ঘক্ষণ। ছিল লম্বা লাইনও।
অধিকাংশের দাবি, অফিস যাওয়ার জন্যই তাঁরা বের হয়েছেন। কিন্তু বাসে উঠতে না পারায় তাঁরা যেতে পারছেন না। বহু জায়গায় যাত্রীরা জোর করে বাস থামিয়ে ওঠার চেষ্টা করলে কন্ডাক্টরদের সঙ্গে রীতিমতো বচসা শুরু হয়ে যায়। ডাকতে হয় পুলিশকে। তবে এসবের মধ্যেই ভাল খবর আগামী ২১ তারিখ থেকে রাস্তায় নামবে এক কামরা ট্রাম। আপাতত চারটি রুটে আধঘণ্টা অন্তর চললেও প্রয়োজনে সেই সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে।
পরিবহন দপ্তরের তরফ জানানো হয়েছে ২১ মে থেকে গুরুত্বপূর্ণ রুটে বাসের সংখ্যাও বাড়বে, আশা করা যায় সেই সময় এই সমস্যা হবে না। প্রায় একই রাস্তা দিয়ে একাধিক রুটের বাস গেলে মাঝ রাস্তাতেও উঠতে পারবেন যাত্রীরা। তাছাড়া ২৭ তারিখ থেকে অটো রুট চালু হলেও অনেক যাত্রী তিন চাকার যানে যাতায়াত করবেন স্বল্প দূরত্বে।
সোমবার বেলা সাড়ে বারোটা। গড়িয়া ডিপোর সামনে অন্তত জনা পঞ্চাশেক প্যাসেঞ্জার। প্রত্যেকেরই দাবি, তারা অফিস যাচ্ছেন। কুড়ি জন হয়ে গেলেও এস ৫ বাসে জোর করে উঠতে যাচ্ছিলেন কেউ কেউ। বাধ্য হয়েই কন্ডাক্টর বিরক্ত হয়ে নেমে যান। ডিপোর অন্য কর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। অনেকটা একই চিত্র ছিল ডানলপ এর কাছে। s9a বাসের জন্য সকাল থেকেই প্রায় ৪০-৫০ জন যাত্রীর লাইন লেগেছিল সর্বক্ষণ। বাস না পেয়ে ফিরে গিয়েছেন অনেকেই। এদিন রাস্তায় ট্যাক্সির দেখা মিললেও তা ছিল হাতেগোনা। অধিকাংশ জায়গাতেই মিটারে যেতে অস্বীকার করেন তাঁরা।
দপ্তর সূত্রে, খবর ২১ মে থেকে শ্যামবাজার-ধর্মতলা, গড়িয়াহাট-ধর্মতলা খিদিরপুর-শহীদমিনার এবং টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জের মধ্যে আধঘণ্টা অন্তর এক বগি ট্রাম চালানো হবে। রাস্তা ফাঁকা থাকায় যাত্রীদের ট্রাম যাত্রা বেশ গতিময় হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে ভাড়া বৃদ্ধি না হওয়ায় বেসরকারি বাস মালিকরা বাস নামাবেন না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন। তবে রিকুইজিশন করে বা অন্য কোনও উপায় সরকারের তরফে আলোচনা করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.