Advertisement
Advertisement

Breaking News

Dog

জীবে প্রেম! পরম যত্নে কুকুরের ভাঙা পায়ে প্লাস্টার করলেন হাসপাতালের ডেপুটি সুপার

মানুষের জখম অঙ্গে যে প্লাস্টার ব্যবহার করা হয়, তাই দেওয়া হল কুকুরকে।

Deputy super of Rampurhat Medical College makes plaster for injured dog | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 15, 2021 9:43 pm
  • Updated:August 15, 2021 9:43 pm  

অভিরূপ দাস: স্নেহ অতি বিষম বস্তু। নয়ত মানুষ ছেড়ে কি শুধুই কুকুরের (Dog) চিকিৎসা করতে যেতেন খোদ ডেপুটি সুপার? পরম যত্নে কুকুরের ভাঙা পায়ে প্লাস্টার করে রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রে ‘ডাক্তারবাবু’। রামপুরহাট (Rampurhat) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারপাশে। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডা. দ্বৈপায়ন বিশ্বাস জানিয়েছেন, ”ওর পায়ে সাধারণ প্লাস্টার করা হয়েছিল। কিন্তু দাঁত দিয়ে ও সেটা ছিঁড়ে ফেলছিল। অস্থি বিশেষজ্ঞদের ডেকে অত্যাধুনিক প্লাস্টার করে দেওয়া হয়েছে। যেমনটা হয় মানুষের পায়ে।”

রামপুরহাটে যার পায়ে এই অত্যাধুনিক প্লাস্টার হয়েছে, সে একটি নেড়ি কুকুর। যাকে নিজের সন্তানসম বলছেন দ্বৈপায়নবাবু। মাস কয়েক আগে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ থেকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে বদলি হয়ে আসেন ডা. দ্বৈপায়ন বিশ্বাস। প্রথম অবস্থায় তিনি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে থাকতেন। সেখানেই তার পরিচয় এই দেশি কুকুরটির সঙ্গে। ওই তল্লাটেই ঘুরঘুর করত সারমেয়টি। নিয়মিত তাকে খাবার দিতেন ডেপুটি সুপার। নাম দিয়েছিলেন – জিনি। বেশ জমেছিল ডা. দ্বৈপায়ন আর জিনির সম্পর্ক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: TMC in Tripura: ‘জরুরি অবস্থা চলছে, মহিলা কমিশন এসে দেখুক’,MP-দের উপর হামলায় সরব কুণাল]

কয়েকদিন আগে থেকে সারমেয়টির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। খুঁজতে খুঁজতে শেষমেশ কুকুরটিকে একটি গাড়ির তলায় আবিষ্কার করেন ডেপুটি সুপার। অনেক ডাকাডাকির পরেও বেরচ্ছিল না সে। ডেপুটি সুপার বুঝতে পারেন, তার পিছনের পায়ের হাড় টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে কোনওভাবে। চলাফেরার ক্ষমতা নেই কুকুরটির। মেডিক্যাল কলেজের স্টুডেন্টরা ডেপুটি সুপারকে জানায়, ওয়ার্ডেরই কেউ সারমেয়টিকে রড দিয়ে মেরেছে। তাতেই পা ভেঙেছে তাঁর আদরের জিনির।

[আরও পড়ুন: চিনা মাঞ্জায় মৃত্যুফাঁদ, বিদ্যাসাগর সেতুতে গলা কাটল বাইক আরোহীর]

এটা শুনে দ্রুত ‘জিনি’র পায়ের প্লাস্টারের ব্যবস্থা করেন তিনি। প্রথমটায় পশু হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সাধারণ প্লাস্টার করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত আলগাভাবে করা সে প্লাস্টার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই খুলে যায়। এরপর মেডিক্যাল কলেজের মানুষের প্লাস্টার করা চিকিৎসকদেরই ডাকেন ডেপুটি সুপার। কিনে আনেন সিন্থেটিক কাস্ট। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তার আদরের জিনির পায়ে প্লাস্টার করেন। মানুষের পায়ে প্লাস্টার করে, যারা অভ্যস্ত কুকুরের পায়ে প্লাস্টার করতে পেরে বেজায় খুশি ডাক্তাররা। ডেপুটি সুপারের কথায়, ”প্রাণ বাঁচানোটাই আমাদের কাজ। হোক না কুকুর। ও দ্রুত সেড়ে উঠুক সেটাই চাই।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement